1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যখন লুণ্ঠিত বিশ্ব মানবতা'

৩০ জুলাই ২০১৪

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের তালিকায় যোগ হচ্ছে আরো নতুন নাম৷ হামলা বন্ধের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঈদ ছাপিয়ে গাজা-র মানবিক বিপর্যয়টিই সামনে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/1CmDT
Palästinenser Israel Gaza Mädchen nach Luftangriff in Gaza City
ছবি: Reuters

কাজী মোঃ লোকমান হোসেন আমারব্লগে লিখেছেন,

‘‘বাংলাদেশে ঈদের আনন্দের ধরনটাই আলাদা৷ পৃথিবীর কোনো দেশ এভাবে ঈদ উদযাপন করে বলে আমার নজরে আসেনি৷ তবে ক্ষণিকের জন্য আনন্দটুকু ম্লান হয়ে যায় যখন ফিলিস্তিনিদের কথা মনে পড়ে৷ আজ পুরো বিশ্বে যখন সবাই ঈদ উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত সেখানে ফিলিস্তিনি ভাই বোনেরা জীবন বাঁচাতে মরিয়া৷ আসলে পৃথিবীটা বড়ই আজব৷ একের সুখের দিনে অপরের সীমাহীন কষ্ট, কেন এত বৈষম্য এই পৃথিবীতে?''

তিনি ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে কয়েকটি লাইন উৎসর্গ করেছেন:

‘‘বাড়িয়ে দাও সকলে মানবতার হাত,

বন্ধ করে দাও সকল রক্তপাত

ভালবাসা দিয়া জয় করিব

সকল প্রতিবন্ধকতা,

যেখানে লুণ্ঠিত বিশ্ব মানবতা৷''

শাকিল মান্নান সামহয়্যারইন ব্লগে লিখেছেন,

‘‘মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলছে৷ আগুন জ্বলছে অনেকদিন থেকেই৷ আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, মিশরের পর এখন আবার প্যালেস্টাইন৷ গত ৮ই জুলাই থেকে শুরু হওয়া অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ নামে ইসরায়লি আক্রমণে এ পর্যন্ত এগারোশোরও বেশি গাজার নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের শতকরা সত্তর ভাগই বেসামরিক নাগরিক৷ উদ্বাস্তু প্রায় দুই লাখ৷ ২০০৫ সালের ইসরায়েলের একতরফা প্রত্যাহার পরিকল্পনা অনুসারে ইসরায়েল গাজা থেকে সৈন্য সরিয়ে নিলেও এর আকাশসীমা ও তীরবর্তী জলসীমার নিয়ন্ত্রণ থাকে ইসরায়েলের হাতেই৷ তাই গাজার লাইফলাইন হলো সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা৷ গত মঙ্গলবারের বোমাবর্ষণে গাজার ৪০% জ্বালানি তেল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ এই তেলই ছিলো গাজার বিদ্যুত ব্যবস্থার একমাত্র উৎস৷ ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে গাজার সবধরনের অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত হাসপাতালও৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘এই সংঘাতের সমাধান কোনো দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব নয়৷ এর জন্য প্রয়োজন একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি পরিকল্পনা৷ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাতে সেখানকার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন৷ আর তা না হলে বরাবরের মতো সেই পদক্ষেপও ব্যর্থতায় পতিত হবে৷''

হাসান রাজিবুল একই ব্লগে লিখেছেন,

‘‘গাজার একটি পার্কে যখন ছোট শিশুরা ঈদের খুশিতে মেতে উঠেছিল তখনই হঠাৎ একটি শেল এসে কেড়ে নেয় সাতটি শিশুর প্রাণ৷ পৃথিবী যখন ঈদ উৎসবে মেতে উঠেছে গাজাবাসী তখন হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছে তাদের সন্তানদের লাশ শনাক্ত করতে৷ ইসরায়েলি পাশবিকতার শিকার গাজার ফিলিস্তিনিদের কাছে এবারের ঈদুল ফিতর অন্যরকম এক ঈদে পরিণত হয়েছে৷ ঈদের নামাজের পরিবর্তে জানাজার নামাজ পড়তে হচ্ছে গাজাবাসীকে৷ তিনি একটি ভিডিও লিংক দিয়েছেন৷

মোঃ মাকসুদুর রহমান একই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন,

‘‘কে এই আক্রমণের জন্য দায়ী? ২২ দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা এখন প্রায় ১,১১৫৷ এর মধ্যে দুশোরও বেশি শিশু৷ আজ যখন সারা বিশ্বের মুসলিম নাগরিকরা তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ পালন করছেন, ঠিক তখন বেঁচে থাকার জন্য দিক-বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে গাজার শিশুরা৷ প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ব বিবেক আর কতকাল বাকরুদ্ধ থেকে ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা তাকিয়ে তাকিয়ে প্রত্যক্ষ করবে?''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য