যানজটের শহরে পরিবেশবান্ধব সাইকেল
‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে উইড়া উইড়া’– গানের কথার মতো না হলেও রাজধানী ঢাকায় সত্যিই আগের চেয়ে অনেক বেশি সাইকেল চলে৷ নারীদেরও দেখা যায় সাইকেল চালাতে৷ দুই চাকার বাহনটি এখন অনেকের কাছেই ভীষণ প্রয়োজনীয়৷ দেখুন ছবিঘরে...
পৃথক লেন
ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে এখন বাইসাইকেলের জন্য ১ কিলোমিটার দীর্ঘ লেন রয়েছে। এছাড়া আগারগাঁওয়ে আছে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সাইকেল লেন। এসব লেন ধরে সাইকেল চালান অনেকে। তবে প্রায়ই বিভিন্ন গাড়ি ও ভাসমান দোকানে চাপা পড়ে থাকে সাইকেলের লেন।
নারীদেরও প্রিয়
ঢাকার রাস্তায় এখন নারীদেরও বাইসাইকেল চালাতে দেখা যায়। দৈনন্দিন কাজে তাদের অনেকে বাইসাইকেল ব্যবহার করেন। ছবিতে সংবাদকর্মী শ্রাবণী রাখী৷ সাইকেল চালিয়েই অফিসে যাওয়া-আসা করেন তিনি।
পরিবেশবান্ধব বাহন
চিকিৎসকরা বলেন, সাইকেল চালালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছরের ৩ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সাইকেল দিবস। সাইকেলকে শান্তি, সহনশীলতা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত বাহন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো
ঢাকায় নিয়মিত সাইকেল চালান যারা, তাদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিডি সাইক্লিস্ট, হেমন্ত রাইডার্স, ঢাকা রাইডার্স, ঢাকা সাইক্লিং ক্লাব, মিরপুর সাইক্লিস্ট প্রভৃতি। এসব গ্রুপের সদস্যরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দলবেঁধে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ান। পরিবেশবান্ধব বাহনটিকে আরো জনপ্রিয় করায় ভূমিকা রাখছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের ভরসার বাহন
ঢাকায় অনেক শিক্ষার্থী এখন নিয়মিত সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজ কিংবা কোচিং ক্লাসে যাতায়াত করে থাকে। স্বল্প দূরত্বে সাইকেলে যাতায়াত করা তাদের কাছে উপভোগ্য।
পণ্য ডেলিভারিতে সাইকেল
ঢাকায় সাইকেল চালিয়ে হোম ডেলিভারি সার্ভিস দেওয়া অনেকের জন্য আয়ের নতুন পথ। অনলাইনে গ্রাহকদের অর্ডার করা খাবার ও বিভিন্ন পণ্য সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে দেন শত শত তরুণ। গ্রাহকের ঠিকানায় পণ্য ডেলিভারি দিতে সাইকেলের প্যাডেল চেপে ছুটে যান তারা।
রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম
যানজট আর লোকাল বাসের ঝক্কি এড়াতে অনেকেই আজকাল সাইকেল চালাচ্ছেন। অল্প দূরত্বে সাইকেল দিয়ে সহজে যাওয়া-আসা করা যায়। সরু ও ছোট সড়কে সহজে প্রবেশ করতে পারে সাইকেল। এটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম। অনেকে সাইকেলেই ঘর ও ব্যবসার জিনিসপত্র পরিবহণ করে থাকেন।
সাইকেলের বড় বাজার
সাইকেলের সবচেয়ে বড় বাজার ঢাকার বংশালে। আমদানি করা ব্র্যান্ডের সাইকেল প্রতিটি সাইকেলের দাম ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা মূল্যের সাইকেলও পাওয়া যায় বংশালে। বর্তমানে দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাইকেল তৈরি করে রপ্তানিও করছে।
হরেক রকম উপকরণ
সাইকেল চালাতে হেলমেট, লাইটসহ হরেক রকমের উপকরণও লাগে৷ সবই পাওয়া যায় বংশালে।
সাইকেল মেরামতের গ্যারেজ
সাইকেল মেরামতের বেশ কিছু দোকান আছে শহরে। চাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে গেলে সেখানে তা ঠিক করা যায়। মধুবাগ হাতিরঝিল সড়কের পাশে এমন একটি গ্যারেজ।