1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের হলে বাংলা ছবি

২৪ মে ২০১৩

সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি সিনেমা হলে পাঁচটি বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে৷ সেগুলোতে দর্শক উপস্থিতি দেখে ঐ হল কর্তৃপক্ষ সহ অন্য হলের মালিকরা ভবিষ্যতে আরও বাংলা ছবি দেখাতে রাজি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/18crx

বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল আই' এর উত্তর অ্যামেরিকা অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা আশরাফুল আলম খোকন জানিয়েছেন এই তথ্য৷ মূলত তাঁর উদ্যোগেই নিউইয়র্কের হলে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম উপস্থিতি ঘটেছে৷

ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে খোকন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হলগুলোতে ইংরেজি ছবি ছাড়াও প্রচুর হিন্দি ছবিও দেখানো হয়৷ বাঙালিরা হলে গিয়ে সেগুলো দেখে৷ ‘‘তখন আমি চিন্তা করলাম বাংলাদেশেওতো এখন অনেক ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে৷ বাঙালিরা হুমড়ি খেয়ে সেই ছবিগুলোর সিডি, ডিভিডি কিনছে৷ তখন আমার মনে হলো, তাহলে তো সিনেমা হলেও ছবি চলতে পারে৷''

যুক্তরাষ্ট্রের হলে বাংলা ছবি

খোকন বলেন, বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন হল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রথমে তারা রাজি হয়নি৷ এভাবে দুই বছর চেষ্টা করার পর একজন হল মালিক বলেন, যদি আগেই হল ভাড়া দিয়ে দেয়া হয় তাহলে তিনি ছবি প্রদর্শন করতে রাজি আছেন৷

এই অবস্থায় ‘রুহানা ফুডস' এর সহযোগিতায় চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ তাদের প্রযোজিত পাঁচটি ছবি নিয়ে ঐ সিনেমা হলে 'রুহানা-চ্যানেল আই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' নামের একটি উৎসবের আয়োজন করে৷ ছবিগুলো হচ্ছে ঘেটুপুত্র কমলা, মনের মানুষ, গেরিলা, থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার ও লালটিপ৷

তিনব্যাপী এই উৎসবে বাঙালি দর্শকের উপস্থিতি দেখে হল কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে বাংলা ছবি মুক্তি দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান খোকন৷ তবে শর্ত একটাই, ছবিগুলো নতুন হতে হবে৷ আগে থেকে সিডি বা ডিভিডি থাকলে হবে না৷

খোকন বলেন শুধু একটি হল কর্তৃপক্ষই নয়, অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পাশের আরেকটি হলও বাংলা ছবির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ এই সফলতার পেছনে বাঙালি দর্শকদের সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন তিনি৷

খোকন বলছেন, চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়েছে৷ তারা তাদের আগামী ছবিটি একইসঙ্গে ঢাকা ও যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য