সিরিয়ায় সংঘর্ষ
৬ এপ্রিল ২০১২
সিরিয়ার সর্বশেষ অবস্থা
সিরিয়ার কমপক্ষে তিনটি শহরে ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষনের খবর জানিয়েছে সেদেশের আন্দোলনকারীরা৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন একদিন আগেই বলেছিলেন, সিরিয়ার সহিংস পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে এবং সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে৷ মুন’এর এই মন্তব্যের পর পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি৷ বরং সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হোমস প্রদেশের আল-টিবা, আল-কাবু এবং সিনিয়ায় গ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ যুক্তরাজ্যকেন্দ্রিক এই গোষ্ঠীর দাবি, সরকারি সেনারা সাত মহিলার একটি দলের উপর গুলিবর্ষণ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷ সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারায় দুইজন, আহত চারজন৷
হোমস ছাড়াও সিরিয়ায় দারা, ইডলিব শহরেও সরকারি সেনা এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে৷ তুরস্ক সংলগ্ন সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ সিরিয়ার স্থানীয় গোষ্ঠী ‘লোকাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি'র তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে সেদেশের মৃতের সংখ্যা ৬৯৷ এদের অধিকাংশই ইডলিব এবং হোমসে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে৷
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
সিরিয়ার এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার নিরসনে সক্রিয় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনান৷ ইতিমধ্যে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে রাজি করিয়েছেন বলেই খবর৷ কোফি আনানের প্রস্তাব অনুযায়ী, সিরিয়ার সরকারি এবং বিদ্রোহী দলের সেনারা ১২ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে যুদ্ধবিরতি পালন করবে৷ তবে, এই সময়ের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই সিরিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে সরকারি সেনা এবং ট্যাংক সরিয়ে নিতে হবে৷ বলাবাহুল্য, দামেস্ক যদিও দাবি করছে বিভিন্ন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে, তথাপি বিদ্রোহীদের দাবি, যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে সেনারা বরং বিরতিহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷
দামেস্কে বৈঠক
ঠিক তাই৷ কোফি আনানের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য দামেস্কে অবস্থান করছে জাতিসংঘের একটি দল৷ একজন পশ্চিমা কূটনৈতিক বার্তাসংস্থা ডিপিএকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বিষয়টির স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় এনে, অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতিসংঘের টেকনিক্যাল টিমের বৈঠক চলছে৷ এই বৈঠকের বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম (এএফি, ডিপিএ, রয়টার্স)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন