যুদ্ধের আতঙ্কে সিরিয়ার শিশুরা
১৮ মার্চ ২০১৭জার্মানির ফেডারেল সাইকোলজিক্যাল সেন্টারের চেয়ারম্যান এলিজে বিটেনবাইন্ডার৷ শিশুদের মনরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর৷দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাতঙ্কগ্রস্ত শিশু ও পূর্ণ বয়স্কদের চিকিৎসা করছেন৷ সিরিয়ার শিশুদের বিষয়ে তাঁর সঙ্গেই কথা বলেছেন জেনেট স্ভাইনক৷
সাক্ষাৎকারে এলিজে বিটেনবাইন্ডার জানান, সিরিয়ার অনেক শিশু নিজের কিংবা বন্ধুর বাবা-মায়ের মৃত্যু, স্কুল পুড়ে যাওয়া, ঘরছাড়া হওয়া বা এমন অন্য কোনো বড় ভীতিকর স্মৃতি নিয়ে বাঁচছে৷ এমন দুঃসহ স্মৃতির প্রভাব পড়ছে শিশুমনে৷ ফলে অনেক শিশুই সর্বক্ষণ আতঙ্কগ্রস্থ৷ মানসিক এই অবস্থার প্রভাবে কারো কারো মাথাব্যথা কমছে না, কেউ কেউ রাতে ঘুমাতে পারছে না, কারো কারো আবার সব কাজেই মন বসাতে সমস্যা হচ্ছে৷
প্রখ্যাত মনরোগ চিকিৎসক বিটেনবাইন্ডার মনে করেন, যুদ্ধাক্রান্ত এই শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ব্যাপক উদ্যোগ দরকার৷ এবং তিনি মনে করেন শিশুদের পাশে দাঁড়ালে তারা হয়ত ধীরে ধীরে ভয়াবহ অতীত ও বর্তমানকে পেছনে ফেলে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে, কারণ, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শিশুদের জীবনে আশা ও সম্ভাবনা থাকে৷ নতুন অভিজ্ঞতা তাদের আত্মবিশ্বাসী ও সৃষ্টিশীল করে৷''
এলিজে বিটেনবাইন্ডারের মতে, ছোট ছোট সুখ বা অভিজ্ঞতা, যেমন খেলাধুলা, নিজেদের গোষ্ঠী বা পরিবারের মধ্যে থাকতে পারার মতো কারণেও খুশিতে ভরে উঠতে পারে শিশুদের জীবন৷ তবে শিশুমন যদি দীর্ঘকাল যুদ্ধাতঙ্কেই ঘুরপাক খায় তাহলে জীবনে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়৷ ‘সেভ দ্য চিলড্রেন'-এর এক প্রতিবেদন বলছে, ইতিমধ্যে সিরিয়ার কয়েক লক্ষ শিশু মাদক বা অ্যালকোহলের নেশায় আক্রান্ত হয়েছে৷
জেনেট স্ভাইনক/এসিবি
বন্ধুরা, প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷