যুদ্ধে রাশিয়া ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে : যুক্তরাজ্য
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাবিভাগ একটি রিপোর্টে বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন তিন লাখ মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বললেও বাস্তবে তা সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, পুটিনের এই নির্দেশের পর থেকে রাশিয়া জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছে।
বস্তুত, পুটিনের ঘোষণার পরেই মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। যুদ্ধবিরোধী সেই আন্দোলনে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। এখনো পর্যন্ত ১২০০ জন গ্রেপ্তার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো বিক্ষওভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে তিন লাখ মানুষকে নতুন করে সেনা বাহিনীতে পাওয়া কঠিন বলেই মনে করছে যুক্তরাজ্য।
রাশিয়ার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। বিশ্বের কাছে বিক্ষোভের খবর পৌঁছে দিচ্ছে তারা। তাদের মাধ্যমেই একাধিক আন্দোলনের কথা জানা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এতদিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে স্বেচ্ছায় মানুষ যোগ দিচ্ছিলেন। কিন্তু এখন আর তারা তা চাইছেন না। সে জন্যই পুটিনকে নির্দেশ দিতে হলো। রীতিমতো ডিক্রি জারি করতে হলো। ফলে নতুন মানুষ সেনাবাহিনীতে গেলেও তাতে রাশিয়ার খুব সুবিধা হবে, এমনটা মনে করা হচ্ছে না।
ওয়াশিংটনের থিংকট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার একটি পৃথক রিপোর্টে বলেছে, রাশিয়া নতুন সেনা নিয়োগ করলেও শীতকালে ইউক্রেনের দখল করা জমি রক্ষা করতে পারবে বলে তারা মনে করছে না। তাদের বক্তব্য, নতুন সেনারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। তারা ওই আবহাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাতে পারবে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার তার দৈনিক বক্তৃতায় ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার মানুষের উচিত এবার প্রতিবাদ করা। এখনো পর্যন্ত ৫৫ হাজার রাশিয়ার সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। আরো মানুষ যোগ দিলে আরো মৃত্যু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেছেন, চুপ করে থাকাও একরকম সমর্থন করা। রাশিয়ার মানুষের উচিত রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হওয়া। যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যমত্য গড়ে তোলা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)