সতর্ক যুক্তরাষ্ট্র
৬ আগস্ট ২০১৩গত এক দশকের মধ্যে এটাকেই যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া সবচেয়ে বড় সতকর্তামূলক ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ব্রুস রিদেল৷ সিআইএ-র এই সাবেক সদস্য ডয়চে ভেলেকে জানান, এই হুমকির কারণে কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, অনেক ইউরোপীয় দেশ সাময়িকভাবে তাদের কূটনৈতিক কাযর্ক্রম বন্ধ রেখেছে - যা পুরো আগস্ট মাস ধরেই চলবে বলে মনে করছেন তিনি৷ বলছেন, এটা সত্যিই আশঙ্কার কথা৷
সম্প্রতি আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের পারস্পরিক যোগাযোগ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে গোয়েন্দারা৷ এ ধরণের যোগাযোগ নাইন ইলেভেনের সময়ও হয়েছিল৷ অবশ্য পরে সেটা বুঝতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷
এই হুমকিকে যে যুক্তরাষ্ট্র ভালোমতোই আমলে নিয়েছে তা ওবামা প্রশাসনের দুটি পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায়৷ এর একটি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ২১টি দূতাবাস বন্ধ রাখার পর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো৷ আর অন্যটি, বিশ্বজুড়ে নাগরিকদের চলাফেরার ওপর সতকর্তা জারি৷
এই ঘোষণার পর জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বিদেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়৷ মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ডি ডাব্লিউকে নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক খুজে বের করার কাজ করছে৷ তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এরই মধ্যে বেশ সমালোচনার মুখে রয়েছে সংস্থাটি৷ সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক খুঁজতে টেলিফোনে কথোপকথন এবং ইমেইলে চোখ রাখছে তারা৷
সন্ত্রাসী হুমকির ফলে মার্কিন প্রশাসনের এই প্রতিক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাদের একজন তথ্যদাতা দরকার যিনি সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবেন৷ তবে তারা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ দেখে এটাই বোঝা যাচ্ছে, তারা আসলেই জানে না কোথায়, কখন এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সপ্তাহে ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলায় ৯ ব্যক্তির মৃত্যুর পর এর প্রতিশোধ হিসেবে আরব দেশগুলোর আল-কায়েদা এবং তাদের সমর্থকরা এ হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে৷ আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির একটি অডিও বিবৃতির পরই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন তারা৷