রবীন্দ্র উৎসব নিয়ে সন্তুষ্ট বন্যা
৩০ ডিসেম্বর ২০১১রবীন্দ্রনাথের সমুদ্রসম গানের ভাণ্ডারকে শ্রোতার কাছে পৌঁছানোই এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য৷ উদ্বোধনী আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ ছিল সহস্র শিল্পীর কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা৷ সম্মেলন কেন্দ্রের খোলা চত্বরে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এর আগে রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান'-এর ২ হাজার ২২২টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘শ্রুতি গীতবিতান'৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এর মোড়ক উন্মোচন করেন৷
উৎসব স্থলে শত ব্যস্ততার মাঝেও ডয়চে ভেলের সাথে টেলিফোন আলাপচারিতায় যোগ দেন সুরের ধারা'র চেয়ারপারসন ও অধ্যক্ষ শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা৷ এই উৎসবে এখন পর্যন্ত কেমন সাড়া পেয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘এই উৎসব তো এখনও চলছে৷ আগামীকাল শেষ হলে এটির মূল্যায়ন পুরোপুরি করা যাবে৷ তবে আমরা যেমনটি আশা করেছিলাম যে, এটি একটি উৎসব হবে যেখানে শ্রোতারা আসবেন, যাবেন, ভাববিনিময় করবেন, মত বিনিময় করবেন, সেদিক থেকে এটি শতভাগ সফল এবং এখানেই আমাদের সফলতা৷''
কবিগুরুর ২২২২টি গান নিয়ে প্রকাশিত হলো ‘শ্রুতি গীতবিতান'৷ কিন্তু এতে গানের সংখ্যাটা এমন হওয়ার কারণ কী - জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘‘গীতবিতানের সকল গানের মধ্যে বেশ কিছু গানের সুর পাওয়া যায়নি৷ তাই সেগুলো গাওয়া যায়নি৷ সেকারণেই গানের সংখ্যাটা সমান নয়৷''
এই উৎসবে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা রবীন্দ্র শিল্পীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সবাই খুব খুশি৷ সবাই বেশ উৎসাহের সাথে বিভিন্ন পর্বে অংশ নিচ্ছেন৷ সবদিক থেকেই এই উৎসব বেশ সফল হয়েছে৷ আমরা এতোটা ভাবতেও পারিনি যে, এতোটা চমৎকার আয়োজন করতে পারবো৷ তাই আমরাও খুব খুশি হয়েছি সবার সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণের কারণে৷''
উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন ফাহমিদা খাতুন, অদিতি মহসিন, অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, মহুয়া মঞ্জুরী সুনন্দা ও প্রতীক এন্দ৷ বিশেষ আকর্ষণ ছিল শ্রীকান্ত আচার্যের রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা৷ আবৃত্তি পরিবেশন করেন কলকাতার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এছাড়া উৎসবের বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিচ্ছেন কবি শঙ্খ ঘোষ, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য করুণাসিন্ধু দাশ ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত৷
উৎসবে আরও থাকছে রবীন্দ্রনাথের গান, গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, রবীন্দ্রনাথের গল্পভিত্তিক চলচ্চিত্র ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র এবং বইয়ের প্রদর্শনী৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক