রামপালে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩চুক্তির প্রায় ১০ বছর পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিটে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়৷ কিন্তু কয়লা সংকটে ১৪ জানুয়ারি থেকে এর উৎপাদন বন্ধ ছিল৷ ডলার-সংকটের কারণে এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি করতে না পারায় কেন্দ্রের মজুত শেষ হয়ে যায়৷
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা আসে৷ চলমান এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট৷ কেন্দ্রটিতে তিন মাসের কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে৷ তবে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন চালু রাখতে এক মাসের কয়লা মজুত রাখার নিয়ম আছে৷ আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু এবং বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রটির৷
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা ইউনিটটি বুধবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে পুনরায় চালু হয়েছে৷ কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু করা হয়৷‘
তিনি বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে৷ একটি ইউনিট চালু রাখতে দিনে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন৷ তাই এ কয়লায় কেন্দ্রটি ছয় দিন চালু থাকবে৷ ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে আসতে ১০ দিন সময় লাগে৷‘
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসবে বলে তিনি জানান৷
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে৷ প্রথম ইউনিটে এর উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট৷ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর হয় ১৭ ডিসেম্বর৷ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়ছিলো৷
দ্বিতীয় ইউনিট আগামী এপ্রিল মাসে চালুর কথা রয়েছে৷
সুন্দরবনের কাছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানান পরিবেশবাদীরা৷
একেএ/কেএম(বাংলা ট্রিবিউন, প্রথম আলো)