ক্রাইমিয়ার পথে দোনেৎস্ক
১৩ মে ২০১৪কিয়েভ প্রশাসন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই গণভোটকে অবৈধ আখ্যায়িত করলেও রাশিয়া বলেছে, গণভোটের ফল অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে৷
এদিকে ইউক্রেন সংকট থেকে উত্তরণের একটি কূটনৈতিক পথ খুঁজতে কিয়েভ সফর করছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷ মঙ্গলবার কিয়েভের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৫শে মে অনুষ্ঠেয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে৷
এর আগে গত মার্চ মাসে একইভাবে একটি ‘বিতর্কিত' গণভোটের পর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের স্বায়ত্ত্বশাসিত এলাকা ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ডিক্রি জারি করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধিতার মধ্যেই রোববার দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক-এ গণভোট হয়৷ এর ফল ঘোষণা করে দোনেৎস্কের অন্যতম শীর্ষ নেতা ডেনিস পুশিলিন সোমবার বলেন, দোনেৎস্ক এখন স্বাধীন এবং তাঁরা রুশ ফেডারেশনে যোগ দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন৷
‘‘দোনেৎস্কের মানুষ সব সময়ই রুশ বিশ্বের অংশ ছিল৷ রাশিয়ার ইতিহাসই আমাদের ইতিহাস৷''
পার্শ্ববর্তী লুগানস্ক শহরের কর্মকর্তারাও বলেছেন, রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য তাঁরা আলাদা একটি গণভোট করেত চান৷
দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে ৬৫ লাখ লোকের বসবাস এবং ইউক্রেনের মোট শিল্প উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ এ দুটি এলাকা থেকেই আসে৷ দোনেৎস্কের বিচ্ছন্নতাবাদী নেতাদের দাবি, রোববার ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে ইউক্রেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পক্ষে৷ আর লুগানস্কের ক্ষেত্রে এই হার ৯৬ শতাংশ৷
কিয়েভের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেইনের বৈধ শাসনের অবসান ঘটাতে চাইছে এবং ২৫ মে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে৷
অবশ্য সংকট নিরসনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কিয়েভে আলোচনায় বসতে আপত্তি নেই বলেও ইউক্রেন সরকার জানিয়েছ৷ এ ব্যাপারে রুশপন্থিদের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি৷
কিয়েভ সফররত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ার মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, কিয়েভ প্রশাসনের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী অংশগুলোর নেতাদের আলোচনায় বসাতে জার্মানি সহযোগিতা করবে৷
তিনি বলেন, ‘‘এখানকার পরিস্থিত, বিশেষ করে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের, খুবই আশঙ্কাজনক৷ আমি আশা করি, সব পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে অধিকৃত এলাকা মুক্ত করা, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণ এবং এসব এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে৷''
স্থিতিশীলতা ফেরানোর এই চেষ্টায় প্রয়োজনের ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলেও যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান স্টাইনমায়ার৷
জেকে/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)