রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ভুয়া জাতীয়পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে এক রোহিঙ্গা নারী চট্টগ্রাম থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন প্রায় অর্ধশত এনআইডি বিতরণ স্থগিত করে৷ তারপর থেকে জালিয়াতি আটকাতে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে৷
সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কারিগরি, প্রশাসনিক ও সমন্বয় নামে তিনটি কমিটি গঠন করেছে বলে জানায় ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
রোহিঙ্গাদের বন্ধে ওই তিন কমিটি সমন্বিতভাবে কাজ করবে৷
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আট সদস্যের কারিগরি কমিটি ভোটার তালিকা ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কারিগরি দিকগুলো যাচাই করে দেখবে৷ প্রয়োজনে সরেজমিন তদন্ত করে মতামত দেবে৷
জালিয়াত চক্রের সঙ্গে ইসি বা প্রশাসনের কারা সম্পৃক্ত তা তদন্ত করে দেখবে যুগ্মসচিব কামরুল হাসানকে প্রধান করে গঠিত সাত সদস্যের প্রশাসনিক তদন্ত দল৷
এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তি নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি’৷
গত আগস্ট মাসে এক রোহিঙ্গা নারী ভুয়া এনআইডি নিয়ে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরা পড়েন৷
এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত এক রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছ থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) উদ্ধার করা হয়৷
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে তুমুল হট্টগোল শুরু হলে জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন৷ রোহিঙ্গা সন্দেহে আটকে দেওয়া হয় অর্ধশত এনআইডির বিতরণ৷
তদন্তে এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ককে দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়৷ তাদের কাছ থেকে ইসির চুরি যাওয়া একটি পুরনো ল্যাপটপ জব্দ করে পুলিশ৷
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এনআইডির একটি প্রকল্পে ঢাকায় কর্মরত আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে কক্সবাজার জেলায় প্রায় চারশ’ রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল৷
কক্সবাজারের তৎকালীন এমপি আবদুর রহমান বদি ওই জালিয়াতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলেও খবর প্রকাশ পেয়েছিল৷
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
গত মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...