সেরা রেয়াল মাদ্রিদ!
২৫ মে ২০১৪শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে অ্যাটলেটিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ২০০২ সালের পর আবারও শিরোপার দেখা পায় রেয়াল৷ তবে এ জন্য আবারও নিষ্ঠুর পরিণতি মেনে নিতে হয়েছে অ্যাটলেটিকোকে৷ কেননা ৪০ বছর আগে শেষবার যখন দলটি ইউরোপীয় কাপের ফাইনালে খেলেছিল, তখন একইরকম অবস্থার শিকার হতে হয় তাদের৷ অর্থাৎ ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই-এক মিনিট আগ পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেও শিরোপার দেখা পাওয়া হলো না অ্যাটলেটিকোর৷
ঘটনাটা এরকম – ১৯৭৪ সালের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে এক গোলে এগিয়ে ছিল অ্যাটলেটিকো৷ কিন্তু ১১৯তম মিনিটে গোল করে বায়ার্ন খেলায় সমতা নিয়ে আসে৷ যে কারণে দু'দিন পর আবারও খেলার আয়োজন করতে হয়৷ এবং সে খেলায় ৪-০ গোলে হেরে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি৷
শনিবার রাতেও প্রায় একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় অ্যাটলেটিকো৷ এক গোলে পিছিয়ে থাকা রেয়ালকে ৯৩ মিনিটের সময় খেলায় ফেরান স্যার্খিও রামোস৷ তাই স্পেনের অনেকগুলো পত্রিকা ৪০ বছর আগের সেই উদাহরণটিই টেনে এনেছে৷
ক্রীড়া বিষয়ক স্পেনের শীর্ষ দৈনিক মার্কা-র শিরোনাম এরকম ‘‘অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জন্য আবারও নিষ্ঠুরতম ফাইনাল''৷ আরেক দৈনিক মুন্ড ডেপোর্টিভো লিখেছে, ‘‘৪০ বছর পর আবারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির শিকার অ্যাটলেটিকো৷'' দৈনিক এল পাইস লিখেছে, ‘‘চার দশক পর আবারও নিষ্ঠুর পরিণতি অ্যাটলেটিকোর৷''
রোনাল্ডোর প্রথম
শনিবারের ফাইনালে পেনাল্টি থেকে গোল পান ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসের পাতায় ঢুকে যান৷ ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে শিরোপা জয়ের সময়ও ফাইনালে গোল করেছিলেন ফিফার বর্ষসেরা এই ফুটবলার৷ ফলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি দুই চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করেন তিনি৷
এর বাইরেও আরেকটা রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন রোনাল্ডো৷ চ্যাম্পিয়নস লিগের সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তিনি গোল করেছেন ১৭টি – যেটা একটা রেকর্ড৷ এর আগের রেকর্ডটি ছিল ১৪ গোলের৷
সমর্থকদের ‘ডেসিমা' উদযাপন
এক যুগ ধরে ডেসিমা অর্থাৎ দশম শিরোপার জন্য অপেক্ষা রেয়াল সমর্থকদের৷ অবশেষে সেটা অর্জিত হওয়ায় আনন্দের ঢেউ বয়ে গেছে তাদের মধ্যে৷ রবিবার সকাল ৬টার সময় যখন পর্তুগালের লিসবন থেকে ট্রফি নিয়ে স্পেনে ফেরে রোনাল্ডোর দল তখন তাদের অভ্যর্থনা জানায় হাজারো সমর্থক৷ মাদ্রিদ শহরের যে স্থানে সচরাচর তারা কোনো শিরোপা উদযাপন করে সেখানেই সমবেত হয়েছিল সমর্থকরা৷ ছাদ খোলা বাসে করে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল পুরো রেয়াল দল৷ রবিবার রাতেও পার্টির আয়োজন করা হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে৷
অ্যাটলেটিকোকেও স্বাগতম
ইউরোপ সেরার শিরোপা না পেলেও অ্যাটলেটিকো দলকে স্বাগত জানিয়েছে তাদের সমর্থকরা৷ কেননা সপ্তাহখানেক আগে অন্তত লা লিগার শিরোপা তো এনে দিয়েছে তাদের প্রিয় দল৷ শনিবার খেলা শেষে দলের কোচ দিয়েগো সিমেওনে বলেন, ‘‘এটা খেলার অংশ৷ তুমি হয় জিতবে, না হয় হারবে৷ আজ আমাদের হারার দিন ছিল৷ তবে অন্তত এটা আমরা জানি যে, আমরা আমাদের সব দিয়েছি৷''
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)