কোবানিতে আইএস এর হামলা
২৬ জুন ২০১৫নিহতদের মধ্যে কুর্দি যোদ্ধা সহ সাধারণ নাগরিক ও শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংগঠন ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস'৷
এর আগে প্রায় চারমাস কোবানি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার পর জানুয়ারিতে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল আইএস জঙ্গিরা৷ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আকাশ থেকে চলা বিমান হামলার সুবিধা নিয়ে কোবানির স্থানীয় কুর্দি যোদ্ধারা আইএস জঙ্গিদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিল৷
কোবানি থেকে আইএস জঙ্গিদের চলে যাবার পর সেখানে কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেয় সিরীয় সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি' বা এফএসএ-র সদস্যরা৷ বৃহস্পতিবার সেই এফএসএ সদস্যদের পোশাক পরেই কোবানিতে হামলা শুরু করে আইএস যোদ্ধারা৷ ফলে হঠাৎ করে কুর্দি যোদ্ধারা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি৷
এদিকে, এবার রোজার মাস শুরু হওয়ার পর এটাই আইএস এর প্রথম বড় কোনো হামলা৷ পবিত্র এই মাসে হামলা চালিয়ে নিষ্পাপ শিশুদের হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন অনেকে৷ যেমন বারজানি এইচ. লিখেছেন, ‘‘যারা পবিত্র রোজার মাসে ঘুমন্ত শিশুদের হত্যা করে তারা মুসলমান নয়৷''
সিমন কাজিনস তাঁর টুইটে কোবানির হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা' উল্লেখ করে বলেন, কোবানির হামলার কারণ আতঙ্ক তৈরি করা৷
কোবানিতে হামলার খবরটি শেয়ার করে মারিয়া হার্লিন কার্নেল বলেন, রোজার মাসে আইএস-এর এমন হামলা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল৷
কোবানিতে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন জ্যাক শাহিন৷ তিনি টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেছেন৷ ছবিতে একজন মানুষকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহের পাশে বলে শোক করতে দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি শেয়ার করে শাহিন ইসলামি জঙ্গিদের হাত থেকে কোবানিকে মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত দিয়ারবাকির শহরে থাকা সাংবাদিক ফ্রেডেরিক গির্ডিঙ্ক-ও একই ছবি শেয়ার করেছেন৷
কয়েকমাস পর আইএস জঙ্গিরা কেন আবার কোবানিতে হামলা চালালো সেটা বোঝার চেষ্টা করেছে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর নিউজ চ্যানেল৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ