রোবট দিয়ে আগাছা পরিষ্কার
২৯ অক্টোবর ২০১৯উত্তর সাগরের তীরবর্তী একটি গ্রামে রয়েছে ওয়েস্টহফ বিও নামের খামার৷ নানান শস্যের ফলন হয় সেখানে৷ মূলত জৈব পদ্ধতিতে চাষ করেন খামারটির মালিক রাইনার কার্সটেন্স৷
এখন তাঁর জমিতে একটি প্রোটোটাইপ পরীক্ষা হচ্ছে৷ এর লক্ষ্য প্রযু্ক্তি আগাছার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং ফসলের ফলন বাড়াবে৷
সে কাজে তিনি ব্যবহার করেন এক রোবট৷ নাম বনিরোব৷
‘‘এ কাজে আমি নিজেকে দূরদর্শী মনে করি, কারণ আমি এক দশক পর মুখোমুখি হবো, এমন সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি,'' বলেন কার্সটেন্স৷
চাষীরা এরই মধ্যে মাঠে কাজ করার জন্য যথেষ্ট লোক পাচ্ছেন না৷ বনিরোব এই শ্রমিক ঘাটতি মেটাতে সক্ষম৷ সে আগাছা খুঁজে বার করে তা রাসায়নিক ছাড়াই ধ্বংস করতে সহযোগিতা করে৷
তবে রোবটটি এখনো শিখছে৷ চাষী রাইনার সেজন্য আইটি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিচ্ছেন৷ বনিরোব এখন শুধু চেনে, কোন চারাটি দরকার, কোনটি দরকার নেই৷
‘‘কল্পনা করুন যে আপনি একটি সবুজ ও একটি লাল কালি দিয়ে ছবি আঁকছেন৷ তখন আমরা তাকে বলছি এগুলো গাজর এবং এগুলো আগাছা৷ পরে আমরা ছবি দিচ্ছি তাকে এবং বলছি এবার খুঁজে বের করো৷ কোথায় তুমি লাল আর কোথায় সবুজ দেবে? এরপর আপনি এ জিনিস দেখতে পাবেন৷ সে তখন সব ছবি পরীক্ষা করে বলে, ‘তুমি আগাছা','' বলেন আইটি বিশেষজ্ঞ স্টেফান হুসমান৷ তিনি ওয়েস্টক্যুস্টে ইউনিভার্সিটিড অফ অ্যাপলায়েড সায়েন্সেসে গবেষণা করেন৷
চাষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে পরে সবজি থেকে আগাছা হাত দিয়ে আলাদা করা হচ্ছে৷ অন্তত এটি পরিবেশবান্ধব৷ যন্ত্রটি সৌরশক্তি দিয়ে চলে৷
পৃথিবীতে বড় দূরদর্শী চিন্তার চাহিদা রয়েছে৷ ডিজিটাল প্রযুক্তি চাষপদ্ধতি বদলে দিতে পারে৷ স্টেফান বলেন, ‘‘আমাদের স্বপ্নের যাত্রা এখানে, ছোট একটা ট্রেলার দিয়ে দরজাটা খুললাম আমরা৷ পরে একশ' ড্রোন উড়বে মাঠ জুড়ে আর সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে করবে৷''
তাহলে কবে থেকে ড্রোন সব কঠিন কাজগুলো করা শুরু করবে? খামারের কাজ কেমন করে বদলাবে? খাদ্য উৎপাদন ও পশুর খামারে ডিজিটালাইজেশন বলতে সামনে কী বোঝাবে? সব নির্ভর করছে নতুন সব প্রযুক্তি ও তার প্রয়োগের ওপর৷
মারিয়ন হুটার/জেডএ