রোহিঙ্গা শিশুদের জীবন
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, ‘‘আগস্ট থেকে প্রতিবেশী দেশের যে শিশুরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বড় একটা অংশ বিশাল হুমকির সম্মুখীন৷’’
বাংলাদেশ পরিদর্শন শেষে ইউনিসেফের নীতি নির্ধারকদের একজন অলিভার হোয়াইট বলেন, ‘‘আমরা বিপুল সংখ্যক মানুষের কথা বলছি, যারা এসেছেই ক্ষুধার্ত, অসুস্থ হয়ে৷ আছে আহত শিশু, যাদের এই মূহুর্তেই স্যানিটেশনসহ বড় পরিসরে বসবাসের ব্যবস্থা হওয়া দরকার৷’’
এর মাত্র এক সপ্তাহ আগেও ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷’’
ইউনিসেফের এক মুখপাত্র থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘প্রায় ২৫০, ০০০ রোহিঙ্গা শিশুর পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে, পাশাপাশি তৈরি খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে৷’’
এক ই-মেল বার্তায় দক্ষিণ এশিয়ায় জিন জ্যাকস সাইমন বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এমন একটি এলাকা থেকে আসছে, যেখানে মানুষের পুষ্টির অবস্থা এমনিতেই উদ্বেগজনক৷’’
‘‘আরো শরণার্থী যদি আসে, তাহলে সাহায্য সংস্থাগুলি আর চাপ সামলাতে পারবে না৷ ফলে আরও মানুষ মারা যাবে,’’ তিনি যোগ করেন৷
সাইমন বলেন, ‘‘সুস্বাস্থ্যে ফিরতে অপুষ্ট শিশুদের কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ এই বাদামের পেস্ট খেতে হবে৷ ভীষণ শক্তিদায়ক এই চিনাবাদামের পেস্ট প্যাকেট থেকে সরাসরি খাওয়া যাবে৷ এর ফলে দূষিত পানি ব্যবহারের ঝুঁকিও কমবে৷’’
সাহায্য সংস্থার ডাক্তাররা বলছেন, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে ‘জনস্বাস্থ্য দুর্যোগ’ চলছে৷ সামনের দিনগুলোতে নানারকম সংক্রামক রোগের ঝুঁকি অনেক গুণে বেড়ে যাবে৷ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই দেখা দেবার আশংকা তো আছেই৷
এএম/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)