1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লকডাউন তুলে নেয়ায় অতি সতর্ক জনসন

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়ে গেছে, সংক্রমণও বেশ কমেছে, তবু লকডাউন তুলে না নেয়ায় বেশ চাপে আছেন বরিস জনসন৷ চাপের মুখেও অবশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, যা করবেন সতর্কভাবেই করবেন৷

https://p.dw.com/p/3pPpU
ব্রিটিশ সেনার সঙ্গে জনসন
ব্রিটিশ সেনার সঙ্গে জনসনছবি: Jeff J Mitchell/Reuters

দুই মাসেরও একটু কম সময়ে দেড় কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া শেষ করেছে ব্রিটেন৷ দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়ে গেছে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে৷ করোনায় এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ১৭ হাজার মানুষ মারা গেলেও মোট মৃতের সংখ্যার দিক থেকে তারা এখন বিশ্বে পঞ্চম৷ তাদের আগে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং ভারত৷ এছাড়া সংক্রমণের হারও ধীরে ধীরে কমছে ব্রিটেনে৷ ফলে লকডাউন তুলে নিয়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল করা এবং স্কুল খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে জনসনের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী দলের সাংসদ এবং ব্যবসায়ীরা৷

কিন্তু ৮ মার্চ থেকে সব স্কুল খুলে দেয়া হবে কিনা জানতে চাওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শুধু বলেছেন খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন, কারণ, তাড়াহুড়ো করে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি নিলে আবার বিপর্যয় নেমে আসতে পারে ব্রিটেনের ওপর৷ লকডাউন তুলে নেয়ার প্রশ্নেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তার একই জবাব- সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দূরে রাখতে যা করণীয় তা নিশ্চিত করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি৷

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এসব বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বরিস জনসন৷ সোমবার গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগাম ধারণা দিতে গিয়ে বরিস জনসন বলেছেন, ‘‘আমরা সতর্কভাবে এমন এক পথ ধরতে চাইবো যে পথ থেকে আর ফিরতে না হয়৷ সংক্রমণের হার দেখে যদি মনে হয়, বর্তমান পরিকল্পনা থেকে আরেকটু সরতে হবে, অথবা যদি মনে হয় আরো ধীরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাহলে কোনো দ্বিধা না করে আমরা তা-ই করবো৷’’

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)