1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাস ভেগাস হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা চলছে

৩ অক্টোবর ২০১৭

রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে এক সংগীত উৎসব চলার সময় পাশের হোটেল থেকে এক বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালায়৷ এতে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন৷ আহতের সংখ্যা ৫২৭৷

https://p.dw.com/p/2l8sU
USA Las Vegas Trauer nach Massen-Schießerei
ছবি: Getty Images/D.Angerer

স্টেফেন প্যাডোক নামের ৬৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তি এই হামলা চালায়৷ উৎসবস্থলের পাশে অবস্থিত ‘ম্যান্ডালে বে' হোটেলের ৩২ তলার একটি রুম থেকে এ গুলি চালানো হয়৷ পুলিশের একটি বিশেষ দল ঐ হোটেলরুমে দিয়ে হামলাকারীকে মৃত অবস্থায় পায়৷ হোটেলরুমে কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় সহ মোট ২৩টি অস্ত্র পেয়েছে পুলিশ৷ এছাড়া প্যাডোকের বাড়ি থেকে আরও ১৯টি অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে৷ লাস ভেগাস থেকে ৮০ মাইল দূরে মেসকোয়াইট নামে একটি অঞ্চলে বাস করতেন প্যাডোক৷ ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্যাডোক ঐ হোটেলে ছিলেন৷

কে এই প্যাডোক?

সাবেক এই অ্যাকাউন্টেন্টের ভাই এরিক প্যাডোক জানিয়েছেন, তিনি জুয়াড়ি ছিলেন৷ তাদের ব্যাংক ডাকাত বাবার নাম একসময় এফবিআই-এর শীর্ষ দশ ‘ওয়ান্টেড লিস্ট' এ ছিল৷ তবে ভাই প্যাডোক স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন বলে জানিয়েছেন এরিক৷ ‘‘সে ভিডিও পোকার খেলতে ও ক্রুজে যেতে ভালবাসতো৷ সে মা'কে বিস্কুট পাঠাতো,'' বলেন তিনি৷ এরিক জানান, প্যাডোক কোনো ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না৷ বন্দুকের প্রতিও তাঁর তেমন আকর্ষণ ছিল না বলে জানান এরিক৷

হামলার কারণ জানার চেষ্টা চলছে

কী কারণে স্টেফেন প্যাডোক ভয়াবহ এই হামলা চালান তার কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷ লাস ভেগাস মেট্রো পুলিশের শেরিফ জোসেফ লোম্বার্ডা জানান, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি৷ ‘‘আমরা তার (হামলাকারীর) অতীত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি,'' বলেন তিনি৷ প্যাডোকের এই বর্বর কাজ ব্যাখ্যা করার মতো কোনো মেনিফেস্টো বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি৷ ‘‘তিনি (প্যাডোক) একাই এই হামলা চালিয়েছেন৷ আমি জানি না, কীভাবে এটা প্রতিহত করা যেতো৷ এই মুহূর্তে আমি এই সাইকোপ্যাথের (আবেগের গুরুতর বৈকল্যঘটিত মানসিক রোগী) বিষয়টি বুঝতে পারছি না৷''

আইএস-এর সঙ্গে সংযোগ?

হামলার পর তথাকথিতু জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস জানায়, স্টেফেন প্যাডোক তাদের সঙ্গী ছিলেন৷ কয়েক মাস আগে তিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন বলেও জানায় আইএস৷ তবে তাদের এই দাবির পক্ষে তারা এখনও কোনো প্রমাণ দেয়নি৷

এদিকে, এফবিআই বলছে, এখন পর্যন্ত এই হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷

বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন?

লাস ভেগাসের এই হামলায় ৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ ফলে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারার ঘটনা৷ প্রতিটি হামলার পরবন্দুক বেচাকেনা আরও কঠোর করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে৷ এবারও তা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ অবশ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স এখনই এমন আলোচনা শুরুর পক্ষে নন৷ ‘‘উদ্দেশ্য (হামলার) এখনও অজানা৷ তাই এখনই নীতি নিয়ে আলোচনা শুরু করা তাড়াতাড়ি হবে,'' বলেন তিনি৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)