1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় আবারো সামরিক হস্তক্ষেপ?

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপর চাপ বাড়ছে, লিবিয়ায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে কিছু একটা করার জন্য৷ কেননা সিরিয়া ও ইরাকে আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা কমলেও, দৃশ্যত লিবিয়ায় তা বেড়ে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/1HqFn
Libyen Kämpfer GNC gegen IS
ছবি: Getty Images/AFP/M.Turkia

সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বায়ু অভিযানে কাজ হয়েছে বৈকি: যে সব আইএস যোদ্ধা সরাসরি নিহত হয়েছে, তাদের বাদ দিলেও, দৃশ্যত বহু আইসিস বা আইসিল যোদ্ধা এখন লিবিয়া কিংবা নাইজেরিয়ায় আশ্রয় বা নতুন কর্মক্ষেত্র খুঁজছে৷

মার্কিন সূত্র বলে, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর তথাকথিত ‘খেলাফতে' যোদ্ধার সংখ্যা আগে ধরা হতো ২০ থেকে ৩৩ হাজার – এখন নাকি সেটা কমে ১৯ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে দাঁড়িয়েছে৷ কিন্তু সিরিয়ায় জিহাদিদের সংখ্যা নাকি দু'হাজার থেকে বেড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়িয়েছে৷ আইএস-এর নিয়ন্ত্রিত এলাকা ও প্রভাবের বাড়া-কমা বোঝা যায় এই গ্র্যাফিক থেকে৷

সিরিয়ায় ‘জিহাদি', অর্থাৎ আইএস যোদ্ধা বা জঙ্গি আইএস সমর্থকরা সির্টে শহরটিকে তাদের দখলে এনেছে – সংলগ্ন ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলও তাদের নিয়ন্ত্রণে৷ কাজেই ওবামা প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে যে, লিবিয়ায় আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হোক৷

১৮ মাস ধরে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে বিমান অভিযান চালানোর পর একটি তৃতীয় দেশে অনুরূপ অভিযান চালু করতে ওয়াশিংটন স্বভাবতই দ্বিধা বোধ করছে৷ কাজেই লিবিয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বারংবার এই কামনা প্রকাশ করছে যে, অন্য কোনো দেশ লিবিয়ায় সামরিক অভিযানে নেতৃত্ব দিক – লিবিয়ার আদত ঔপনিবেশিক শক্তি ইটালি যা করতে রাজি৷ কিন্তু লিবিয়ায় স্থায়িত্ব আনার জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে, বলেছে রোম৷

সিরিয়া ও ইরাকের বাইরে লিবিয়াই যে আইএস-এর মূল ‘ফোকাস', মার্কিন প্রশাসন সে' ‘ঝুঁকি' সম্পর্কে গত দেড় বছর ধরে সচেতন, বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট৷ গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ‘‘একটা ভুয়ো খোলাফতের হাতে তেল বিক্রির কোটি কোটি ডলার'' সংক্রান্ত বিভীষিকার কথা৷

২০১৪ সাল থেকে লিবিয়ায় বস্তুত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কর্তৃপক্ষ শাসন চালাচ্ছে৷ কাজেই লিবিয়ায় স্থায়িত্ব আনতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার, যার সম্ভাবনা দূরপরাহত৷ ওদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার এই বৃহস্পতিবারেই সিরিয়ায় সম্ভাব্য ‘গ্রাউন্ড অপারেশনে' সৌদি অংশগ্রহণের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ও সেই সঙ্গে বলেছেন যে, লিবিয়ায় মার্কিন ভূমিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷

Karte Libyen Tobruk Englisch

লিবিয়ার দিকে নজর ফেরানো আর একজনকে বিব্রত করতে পারে, তিনি হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বর মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন, যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন লিবিয়ায় হস্তক্ষেপের সপক্ষে যুক্তি রেখেছিলেন৷ ২০১১ সালে হিলারি নাকি সেটাকে ‘স্মার্ট পাওয়ার' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান