লিবিয়ায় ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
১ মে ২০১১ন্যাটোর বক্তব্য
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিবিয়াতে ন্যাটোর কার্যক্রম কেবল বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য৷ শনিবার রাতে গাদ্দাফির ছোট ছেলে সাইফ আল আরব এবং তিন নাতি নিহত হওয়ার পর ন্যাটোর পুরো কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ ন্যাটোর ক্যানাডিয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল চার্লস বুশার্ড এই ঘটনার ব্যাপারে বলেছেন, ‘‘কোন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে ন্যাটো বিমান হামলা চালায়নি৷ ত্রিপোলিতে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে৷ লিবিয়ার সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছে এমন জায়গাও ন্যাটোর হামলার লক্ষ্যবস্তু৷'' একই কথা বলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কেবল সামরিক সরঞ্জাম নয় সামরিক বাহিনীকে যারা নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নির্দেশ দেন তারাও সামরিক লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন৷ ক্যামেরনের দাবি, ন্যাটো জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করছে না৷
সমালোচনার মুখে ন্যাটো
তবে এই হামলা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে ন্যাটো৷ কারণ শনিবার রাতের এই হামলার মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিলেন গাদ্দাফি এবং তার পরিবার, সেরকমই বলছে অনেক দেশ৷ গাদ্দাফির বহুদিনের বন্ধু ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ড উগো চাবেজ এই হামলাকে হত্যা প্রচেষ্টা উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ অন্যদিকে রাশিয়াও এই ঘটনার সমালোচনা করেছে৷ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া এখন সন্দেহ করছে যে পশ্চিমা বাহিনী গাদ্দাফিকে হত্যার চেষ্টা করছে কীনা৷ রাশিয়া ন্যাটোকে অবিলম্বে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে৷ একই সঙ্গে বেসামরিক হতাহতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷
যুদ্ধ চলছে
রোববারও ন্যাটো বাহিনী ব্যাপক হামলা চালিয়েছে গাদ্দাফি সেনাদের ওপর৷ বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, শনিবার গাদ্দাফির সেনারা জালু এং আওলিজাহ নামে দু'টি শহরে ঢুকে পড়েছিল৷ সেখানে তারা পাঁচজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা৷ এরপর তাদের লক্ষ্য করে ন্যাটোর বিমানগুলো হামলা চালায়, এতে গাদ্দাফি বাহিনীর ৪৫টি যান ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে৷ অন্যদিকে তিউনিসিয়ার সীমান্ত এলাকাতে গাদ্দাফি সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস