লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব নিলো ন্যাটো
২৮ মার্চ ২০১১সবশেষ পরিস্থিতি
গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতে আর ত্রিপোলিতে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে৷ লিবীয় টেলিভিশনে বলা হচ্ছে এটা যৌথ বাহিনীর অভিযান৷ এদিকে লিবীয় সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম স্বীকার করেছেন যে, বিদ্রোহীরা ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে৷ যৌথ বাহিনীর অভিযানকে তিনি ‘অপ্রয়োজনীয়' বলেও মন্তব্য করেন৷ এছাড়া ন্যাটো সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় তার সমালোচনা করেছেন তিনি৷ ইব্রাহিম বলেন এর মানে হলো, ন্যাটো মানুষ মারার ও সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
ন্যাটোর সিদ্ধান্ত
গত নয় দিন ধরে লিবিয়াতে যে অভিযান চলছে সেটার নেতৃত্ব এতদিন ছিল অ্যামেরিকার কাছে৷ এখন সেটা চলে যাবে ন্যাটোর কাছে৷ সংস্থাটির মহাসচিব আন্ডের্স ফঘ রাসমুসেন বলেছেন, তাদের উদ্দেশ্য হবে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলা৷ অর্থাৎ নিরীহ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া৷ এর বেশিও নয়, কমও নয় - পরিষ্কার কথা রাসমুসেনের৷ এর জন্য যা করা প্রয়োজন তাই করবে ন্যাটো৷ তিনি বলেন, ন্যাটোর নৌবাহিনী ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ তারা সমুদ্রপথে অস্ত্র ও ভাড়া করা গুন্ডা বাহিনীর লিবিয়ায় প্রবেশের দিকে কড়া নজর রাখছে৷ লিবিয়ায় ন্যাটোর কার্যক্রমের প্রধান করা হয়েছে ক্যানাডীয় এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলকে৷
অ্যামেরিকার ভূমিকা
অ্যামেরিকা এবার নজর দেবে লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে৷ অর্থাৎ গাদ্দাফির অপসারণের দিকে৷ এমন আভাস পাওয়া গেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের কথাবার্তায়৷ ক্লিন্টন বলেন আগামীকাল মঙ্গলবার লন্ডনে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে৷ সেখানে গাদ্দাফিকে সরানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে৷ এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে লিবিয়ায় একজন বিশেষ দূত পাঠাবেন৷ যার কাজ হবে গাদ্দাফিকে একটি পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দেয়া৷ এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেটস বলেছেন তাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে যে, গাদ্দাফির সরকারে ভাঙন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এই মুহূর্তে গাদ্দাফিকে যারা সমর্থন দিচ্ছেন তারা সেটা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই