বিমানযাত্রার নতুন নিয়ম
২২ মার্চ ২০১৭সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নতুন বিষয় নয়৷ নাইন-ইলেভেনের পর থেকেই তরল পদার্থ সহ অনেক জিনিসের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে৷ ‘কেবিন ব্যাগেজ’ হিসেবে এ সব নিয়ে বিমানে ওঠা মানা৷ কখনো জুতো ও কোমরের বেল্ট খুলে পরীক্ষা করা হয়৷ ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটও হাতের ব্যাগ থেকে বার করে আলাদা করে স্ক্যান করতে হয়৷ এবার কোপের মুখে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনগামী বিমানে মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস কাছে রাখা যাবে না৷ কাউন্টারেই ‘চেক ইন’ মালপত্রের মধ্যে সেগুলি রাখতে হবে৷ বিশেষ কিছু দেশের বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে আগামী শনিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে৷ মার্কিন তালিকায় রয়েছে মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ১০টি বিমানবন্দর, ব্রিটেনের ক্ষেত্রে ছ'টি দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে৷
বলা বাহুল্য, এমন সিদ্ধান্ত বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে অ্যামেরিকা যেতে যে দীর্ঘ সময় লাগে, বিশেষ করে পেশাগত ও ব্যবসার কারণে অনেকেই সেই সময়টা কাজে লাগিয়ে বিমানে বসে বহু কাজ সেরে ফেলেন৷ তাঁদের জন্য এটা অবশ্যই একটা অসুবিধার কারণ৷ অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এমন সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন৷ প্রথমত ল্যাপটপ অথবা ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে বোমা তৈরি করার উদ্দেশ্য থাকলে সন্ত্রাসবাদীরা অন্য বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, মালপত্রের মধ্যে ল্যাপটপ থাকলেও বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে৷ অনেকের মতে, আসলে মধ্যপ্রাচ্যের সফল বিমানসংস্থাগুলিকে বিপাকে ফেলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
সাধারণ যাত্রীরাও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন৷ কেউ কেউ হাস্যরসের আশ্রয় নিচ্ছেন৷
বিমান সংস্থা এমিরেটস-এর বিজ্ঞাপনেও বিষয়টি উঠে এসেছে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)