শততম টেস্টে জয়ের হাতছানি
১৮ মার্চ ২০১৭বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে নানাবিধ বিতর্ক বেশ তুঙ্গে৷ দল কারা বা কে নির্বাচন করেন তাই নিয়ে ফেসবুকে প্রায়ই দেয়া যায় নানাবিধ বক্তব্য৷ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) রয়েছে দল নির্বাচনের জন্য দ্বিস্তরবিশিষ্ট কমিটি৷ তাসত্ত্বেও কেউ কেউ বলেন, কোচ হাথুরুসিংহে আসলে তাঁর খেয়ালখুশি মতো দল সাজাচ্ছেন৷ আবার কারো মতে, কোচকে আসলে ‘বলির পাঁঠা' বানানো হচ্ছে, পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন অন্যকেউ৷
ওদিকে শ্রীলঙ্কায় বোর্ড সভাপতি পাপনের দেয়া এক বক্তব্য থেকে জানা গেছে আরো সাংঘাতিক কথা৷ মাঠে কারা খেলবে, কারা খেলবে না - সে সিদ্ধান্ত নাকি তিনি নিজেই নেন! প্রশ্ন ওঠে, বিসিবি-র নির্বাচকরা কি তাহলে ‘পুতুল'?
ক্রিকেট দল নিয়ে মাঠের বাইরে যে রাজনীতি চলছে, তা এখন পরিষ্কার৷ আর মাঠের ভেতরও তার প্রভাব পড়ছে কিনা এককথায় বলা মুশকিল৷ তবে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের খেলায় কখনো কখনো দেখা যায় একরোখা, রাগী মনোভাব৷ পরিস্থিতি বুঝে খেলার বদলে খেয়ালখুশি মতো খেলা কাকে বলে তার এক নমুনা কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন বিকেলে দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান৷ আট বল এলোপাথাড়ি খেলে দু'বার আউট হতে হতে বেঁচে যান তিনি৷ অথচ তখন প্রয়োজন ছিল ঠান্ডা মাথায় ক্রিজে টিকে থাকা৷
পরেরদিন অবশ্য দলের প্রয়োজনমতোই খেলেছেন সাকিব৷ পেয়েছেন সেঞ্চুরিও৷ তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিক, মোসাদ্দেকরা৷ সবাই মিলে দলকে নিয়ে গেছেন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থানে৷ আর চতুর্থ দিন বাংলাদেশ টিম ওয়ার্কের এক চমৎকার নমুনা দেখিয়েছে৷ ২৬৮ রান তুলতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে আট উইকেট, এখন অবধি লিড মাত্র ১৩৯ রানের৷
শেষদিন সকালে শ্রীলঙ্কার বাকি দুই উইকেট ফেলে দিতে পারলে শততম টেস্টে জয়ের জন্য আর খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না টাইগারদের৷ তাদের শুধু দরকার মাঠের বাইরের রাজনীতি, ব্যক্তিগত ক্ষোভ, হতাশা থেকে দূরে থেকে একটু ঠান্ডা মাথায় মাঠের পরিস্থিতিমতো খেলে যাওয়া৷ তামিম-সাকিব-মুশফিকের মতো কারো কারো চোখে ‘ভালো খেলে অপরাধ করা' অভিজ্ঞদের ব্যাট শেষদিনে টাইগারদের এক অবিস্মরণীয় জয় এনে দিতে পারে৷ ব্যাকআপ হিসেবে মোসাদ্দেক আর মিরাজদের মতো নবীন মাঝিরা তো আছেনই৷ শততম টেস্টে জিততে আর কী চাই!
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷