শরণার্থী গ্রহণে শৃঙ্খলা, নিয়ন্ত্রণ
২৬ অক্টোবর ২০১৫রোববার চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, শরণার্থীদের ত্রাণ, আশ্রয়কেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা জরুরি ভিত্তিতে দরকার৷ তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং দেখাতে হবে যে ‘‘ইউরোপ মূল্যবোধের স্থান, ইউরোপ সংহতির মহাদেশ৷'' ব্রাসেলসে বলকান দেশগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ নেতাদের বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর এ কথা বলেন৷
সোমবার ব্রাসেলসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার জানান, সার্বিয়া, মেসিডোনিয়া এবং আলবেনিয়াসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশ গ্রিস এবং বলকান অঞ্চলে বেশি হারে অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রহণের ‘অ্যাকশন প্ল্যান' তৈরি করেছে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী, গ্রিস ও বলকান অঞ্চল মিলিয়ে ১ লাখ স্থানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রহণ করা হবে৷
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিকল্পনার ফলে ইউরোপ হয়তো চলমান শরণার্থী সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে৷
ব্রাসেলসের সংবাদ সম্মেলনে ইয়ুংকার আরো বলেন, ‘‘(শরণার্থী সংকট) পরিস্থিতি সামাল দেয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে, মানুষের যে অনিয়ন্ত্রিত স্রোত আসছে তার গতি মন্থর করে দেয়া৷'' পরিকল্পিত ১ লাখ শরণার্থী কেন্দ্রের অর্ধেরক হবে গ্রিসে, বাকি অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ হাজার হবে মেসিডোনিয়া, সার্বিয়াসহ অন্যান্য বলকান দেশে৷
শরণার্থী গ্রহণ কেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত রক্ষা এজেন্সি ফ্রন্টেক্স-কে আরো সক্রিয় করা, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তার আদান-প্রদান বৃদ্ধির উদ্যোগও নেবে ইইউ৷ স্লোভেনিয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে আরো ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হবে৷
রবিবার রেকর্ড ১৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ করে৷ সে দেশে অভিবাসী হতে আগ্রহীদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে৷ স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সিরো সেরার এ বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নেয়া হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অস্তিত্বের সংকটে পড়তে পারে৷''
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)