শরণার্থী ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি!
১১ আগস্ট ২০১৮স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মিনিস্টার হেলমুট টাইসমান স্থানীয় পত্রিকা বিল্ড আম সনটাগকে জানান যে সম্প্রতি স্পেনে শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকার বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জার্মান সরকার৷ উল্যখ্য, ইটালি সরকার দেশটিতে শরণার্থী প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দিলে, প্রতিবেশী দেশ স্পেনে শরণার্থীদের আসার হার বাড়তে থাকে৷ বলা বাহুল্য, ২০১৬ সালে শরণার্থীদের প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত বলকান-রোড বন্ধ হয়ে গলে ইটালি হয়ে উঠে শরণার্থীদের ইউরোপে আশ্রয় নেয়ার অন্যতম প্রবেশ পথ৷
হেলমুট টাইসমান বলেন, ‘‘আমরা অশঙ্কা করছি যে শরণার্থীরা ফ্রান্স, জার্মানিসহ নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামে ও লুক্সেমবার্গে প্রবেশ করতে পারে৷'' এ কারণে জার্মান সরকার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, কেন না ২০১৫ সালের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জার্মানি৷ মন্তব্য করেন টাইসমান৷ তিনি আরো জানান, নতুন করে আসা শরাণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে স্পেনকে সহযোগীতা করতে প্রস্তুত জার্মান সরকার৷
স্পেনে শরণার্থীদের নতুন ঢেউ
ইটালিতে প্রবেশের সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে শরণার্থীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের উপকূলে এসে আশ্রয় নিচ্ছে৷ আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার শরণার্থী স্পেনের উপকূলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ গত শনিবার ৩৯৫ জন শরণার্থীকে সমুদ্র উপকূল থেকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড৷ আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানায়, এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫৪ জন করে মোট আট হাজার ১৫০ জন নারী ও শিশুকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ এ সব শরণার্থীদের অধিকাংশই আফ্রিকা অঞ্চল থেকে আসা৷
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জার্মান সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ৯ লাখ শরণার্থীকে দেশটিতে আশ্রয় দেয়৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ‘উন্মুক্ত দরজা' বা ‘ওপেন ডোর' নীতির আওতায় আশ্রয় পাওয়া এই শরণার্থীদের অধিকাংশই ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ বিধ্বস্ত দেশ, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা৷
তবে জার্মান সরকার ২০১৫ সালে যে পরিস্থিতির ছিল, তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না৷ তাই শরণার্থী বিষয়ক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই জার্মানি-অস্ট্রিয়া সীমান্তে ‘ট্রান্সফার সেন্টার' চালু করেছে দেশটি৷
আরআর/ডিজি
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷