‘বিপদ সংকেত’
১৯ এপ্রিল ২০১২ভারত বৃহস্পতিবার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে৷ ‘অগ্নি-৫' নামক এই ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার, প্রস্থ ২ মিটার, ওজন ৫০ টন৷ ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার এই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র এশিয়া, ইউরোপের যেকোন দেশে আঘাত হানতে সক্ষম৷ বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন-উর-রশীদ মনে করেন, ‘‘শান্তিকামী যে সমস্ত দেশ রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি বিপদ সংকেত৷ কারণ সবসময় যে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর দ্বন্দ্ব হবে তা নয়৷ ভারতের সঙ্গে দূরপাল্লার দেশের যদি দ্বন্দ্ব হয়, সেখানে যদি প্রতিপক্ষ এধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এটাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷''
হারুন বলেন, ‘‘এ ধরনের প্রতিযোগিতা কোনভাবেই সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নয়৷ এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে শুধুমাত্র তাদের প্রতিপত্তি এবং বৃহৎ শক্তি হিসেবে প্রকাশের একটি উপকরণ মাত্র৷''
ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চীনের সঙ্গে সেদেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে সাবেক এই সেনা প্রধান বলেন, ‘‘চীন অনেক আগেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং এধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ক্ষমতা তাদের রয়েছে৷ এতদিন এই ক্ষমতা ভারতের ছিল না৷ সেটা হওয়াতে একটা সমকক্ষতা এসেছে বলে ভারত মনে করছে৷''
ভারতের এই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর পাকিস্তানও একইধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন-উর-রশীদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা অতীতে দেখেছি ভারত যখই কোন সমরাস্ত্র তৈরি করেছে, পাকিস্তান তখন একই ক্ষমতার সমরাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে৷ কাজেই এবারও পাকিস্তান প্রতিপক্ষ হিসেবে একইধরনের কাজ করার প্রয়াস চালাবে৷''
সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ