শান্তিতে নোবেল পেলো জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন
১১ অক্টোবর ২০২৪হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে পরমাণু বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জাপানে হিবাকুশা নামে পরিচিত। পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধের জন্য এই আন্দোলনকে সংগঠনটির বয়স্ক সদস্যরা তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে চান।
নোবেল কমিটির বক্তব্য
নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান ইয়োর্গেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস বলেছেন, "পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে যে ট্যাবু ছিল, তা এখন চাপের মুখে পড়েছে।'' এ কারণেই এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।
ফ্রিডনেস বলেন, "পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টার জন্য এবং পরমাণু অস্ত্র কেন আর কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়, সেটার প্রত্যক্ষ উদাহরণ প্রদর্শনের জন্য এই পুরষ্কারটি দেওয়া হয়েছে।"
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ট্যাবুটি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার গুরুত্ব থেকেই এই বছরের পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আমাদের সকলের দায়িত্ব আছে, বিশেষ করে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর।"
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে বোমা হামলার শিকার শহরগুলোতে বেঁচে যাওয়া মানুষেরা "বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক বিরোধিতা" তৈরিতে ‘অনন্য' ভূমিকা রেখেছেন।
নতুন করে নানা দেশের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রস্তুতি নিয়েও সতর্ক করেছে নোবেন কমিটি।
পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে রাশিয়ার অবস্থান এই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রিডনেস বলেন, এই ধরনের হুমকি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার অলিখিত ঐকমত্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, " এর (পারমাণবিক অস্ত্র) ব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ট্যাবু বজায় রাখা সমস্ত মানবতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
এই বছরের নোবেল পুরষ্কারের জন্য ২৮৬ জন প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংগঠন ছিল।
এডিকে/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)