1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২১ মে ২০১৮

শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ একই মঞ্চে তাঁর সঙ্গে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷

https://p.dw.com/p/2y4Az
বাংলাদেশ ভবনছবি: DW/S. Bandopadhyay

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ ভবন৷ দুই বাংলার নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগসূত্র এবং নিত্য চিন্তা-বিনিময়ের কেন্দ্র হিসেবে গঠিত এই ভবনের উদ্বোধন করতে শুক্রবার শান্তিনিকেতনে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ ওই দিনেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবর্তন, যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথমবার শান্তিনিকেতনে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি প্রথামাফিক বিশ্বভারতীর আচার্যও বটে৷ কাজেই একই মঞ্চে থাকবেন দুই প্রধানমন্ত্রী, একসঙ্গে দুপুরের খাবারও খাবেন৷ এবং থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ শনিবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যাবেন আসানসোল৷ সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট দেওয়া হবে৷

বাংলাদেশ সরকার ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাড়িটি তৈরি করতে: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনটি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায়৷ এ সম্পর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেশাল অফিসার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানালেন, বাংলাদেশ সরকার ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাড়িটি তৈরি করতে এবং নির্বাহ খরচ হিসেবে দিয়েছে আরও ১০ লক্ষ টাকা৷ এই বাড়িটিতে থাকছে ৪৫০ আসনের একটি প্রেক্ষাগৃহ৷ এত বড় প্রেক্ষাগৃহ বিশ্বভারতীতে নেই৷ থাকছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসভিত্তিক একটি সংগ্রহশালা৷ সেটিও বাংলাদেশ সরকারই সাজিয়ে দিয়েছে৷ এছাড়া বাংলাদেশ বিষয়ক বইপত্রের সংগ্রহ নিয়ে একটি পাঠাগারও তৈরি করে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার৷ রবীন্দ্রনাথের সার্ধ-শতবর্ষে ঢাকায় যখন অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তখনই শান্তিনিকেতনে এই ভবন গড়ার পরিকল্পনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ গত এপ্রিলের মাঝামাঝি বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শান্তিনিকেতনে এসে বাড়িটির চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ তদারকি করে যান৷ তখনই তিনি বলেছিলেন, এই বাড়ি শান্তিনিকেতনের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণও হয়ে উঠবে৷ সম্ভবত সাধারণের ব্যবহার্য করার কথা ভেবেই বাড়িটিতে একটি ক্যাফেটোরিয়াও রাখা হয়েছে৷

তবে একই মঞ্চে মোদী, হাসিনা, মমতা, অথচ তিস্তার জলবণ্টন সমস্যা বা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যা নিয়ে কোনও কথা হবে না, এতটা মেনে নিতে পারছে না ভারতের কূটনৈতিক মহল৷ বরং শোনা যাচ্ছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা হতে পারে৷ কারণ, কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে কথা বলতে বাংলাদেশের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল দিল্লি সফর করেছে৷ আর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের বছরে শেখ হাসিনার এই পশ্চিমবঙ্গ সফরও বাড়তি তাৎপর্য পাচ্ছে, কারণ, মৌলবাদী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনা ভারতেরও সহযোগিতা চেয়েছেন বলে খবর৷