1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষকের দায়িত্ব মনে করালেন আক্রান্ত অধ্যাপক

২৯ জুলাই ২০১৯

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় আদর্শ শিক্ষকের দায়িত্ব মনে করালেন অধ্যাপক আবদুল কাফি৷ পথ দেখালেন শিক্ষক–ছাত্র সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের৷

https://p.dw.com/p/3Mt4h
Pithoragarh Studenten streiken Indien
ছবি: DW/S. Mishra

কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক–অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনা নতুন কিছু নয়৷ বরং সম্প্রতি তুচ্ছ কারণে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়েছে শিক্ষার্থীরা৷ বেশিরভাগ ঘটনায় রাজনৈতিক দলের মদদকেই দায়ি করা হচ্ছে৷

পরীক্ষায় খারাপ করেও শিক্ষার্থীরা ঘেরাও করেছে, অপদস্থ করেছে শিক্ষক-অধ্যাপকদের৷ নিয়মিত ক্লাস না করেও ন্যুনতম হাজিরা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ হয়েছে৷ পাশাপাশি ন্যায় সঙ্গত দাবি দাওয়া তো আছেই৷ মাঝে মাঝে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকতে হয় পুলিশকে৷

এর মধ্যে ব্যতিক্রমী মানুষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের  বাংলা ভাষার অধ্যাপক আবদুল কাফি। যদিও ঘটনা সামান্য নয়। চার বছর আগে বাংলা বিভাগ থেকে বের হওয়া এক ছাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল অধ্যাপক কাফির ওপর। প্রথমে মোবাইলে আপত্তিকর মেসেজ এবং হুমকি দেয়া শুরু৷ একদিন অধ্যাপকের বাড়িতেও চড়াও হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অধ্যাপক কাফির গায়ে হাত পর্যন্ত তোলে ওই সাবেক ছাত্র।

খবর পেয়ে ছুটে আসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ছাত্রটিকে মারতে যায় তারা৷ কিন্তু ত্রাতা হলেন অধ্যাপক কাফি৷ সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ছেলেটিকে পিটুনির হাত থেকে বাঁচান অধ্যাপক কাফি৷ পরে ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷

সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ছেলেটিকে পিটুনির হাত থেকে বাঁচান অধ্যাপক কাফি

শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় শিক্ষকের ওপর হামলায় ঘটনায় সোচ্চার হয় শিক্ষার্থীরা৷ সামাজিক যোগাযোগেও আলোড়ন তোলে ঘটনাটি৷ কিন্তু অধ্যাপক কাফি শুরু থেকে উত্তেজনা প্রশমণে চেষ্টা করেন৷ অধ্যাপক কাফি মনে করেন,  ওই সাবেক শিক্ষার্থীরা সাহায্য দরকার। তাই তাঁকে শাস্তি না দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন কাফি৷

অধ্যাপক কাফি মনে করেন না তিনি খুব বীরত্ব বা মহানুভবতার কাজ করেছেন৷ তাঁর দাবি, এটাই স্বাভাবিক। শিক্ষক–ছাত্রের মধ্যে এমন সম্পর্কই থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি৷

তাঁর কোনো ছাত্র এমন আচরণ করতে পারে এটা নিয়ে বিস্মিত তিনি৷ তিনি জানান, ‘আমার ধারণা ছিল, আমার ছাত্ররা কখনোই এরকম করতে পারে না। সে যতই আমার মতের বিরোধী হোক। এটা আমার গভীর আস্থার জায়গা ছিল৷ ...কিন্তু আমার কোনো ছাত্র, সে আমাকে পছন্দ করে না পারে, আমার মতামতের বিরোধী হতে পারে, কিন্তু সে আমার দিকে তেড়ে আসবে, বা মারবে সরাসরি, এটা বিশ্বাস করতে আমার গোটা অস্তিত্ব ধরে টান পড়ে যাচ্ছে!''

ছেলেটির বাবা–মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অধ্যাপক কাফি৷ পুলিশের কাছে তদবির করছেন, যাতে ছেলেটি জামিন পায়।

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য