শিক্ষা জরিপে ইউরোপের চেয়ে এশিয়া এগিয়ে
অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সংস্থা বা ওইসিডি মঙ্গলবার পিসা জরিপ প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের শিক্ষার্থীরা এশিয়ার শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে আছে৷
পিসা জরিপ
বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫ বছর বয়সিরা কতটুকু প্রস্তুত, তা জানতে প্রতি তিন বছরে একটি জরিপ প্রকাশ করে প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সংস্থা’ ওইসিডি৷ এটি পিসা জরিপ (প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট) নামে পরিচিত৷
ইউরোপের চেয়ে এশিয়া এগিয়ে
সবশেষ জরিপটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে৷ ২০২২ সালে ৮১ দেশের প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থী এই জরিপে অংশ নেয়৷ এতে দেখা যাচ্ছে এশিয়ার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছে৷ ওইসিডির শিক্ষা বিশ্লেষক আইরিন হু বলেছেন, সবশেষ জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মান অনেক কমেছে- যা পিসার ইতিহাসে নজিরবিহীন৷ ২০০০ সালে প্রথম পিসা জরিপ প্রকাশিত হয়েছিল৷
শীর্ষে সিঙ্গাপুর
সবার শীর্ষে আছে সিঙ্গাপুরের শিক্ষার্থীরা৷ গণিত, রিডিং ও বিজ্ঞান- এই তিন বিষয়ে মান যাচাই করা হয়৷ সিঙ্গাপুরের শিক্ষার্থীরা তিনটিতেই শীর্ষে আছে৷ ‘‘এই ফল বলছে, সিঙ্গাপুরের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের চেয়ে প্রায় তিন থেকে পাঁচ স্কুলবর্ষ এগিয়ে আছে,’’ পিসার প্রতিবেদনে এই মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে৷
এশিয়ার অন্যদের অবস্থা
ম্যাকাও, তাইওয়ান, হংকং, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা গণিত তালিকায় সেরা ১০ এর মধ্যে আছে৷ রিডিও ও বিজ্ঞানেও তারা ভালো করেছে৷
জার্মানির করুণ দশা
২০০০ সাল থেকে প্রকাশিত হওয়া পিসা জরিপে এবারই সবচেয়ে খারাপ স্কোর করেছে জার্মানির শিক্ষার্থীরা৷ ইউরোপে সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে পিছিয়ে আছে জার্মানি ও ফ্রান্স৷ ইউরোপে সেরা হয়েছে এস্তোনিয়া৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জার্মানির ফলাফলে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন৷
সুখ পরিমাপ
শিক্ষার্থীরা সুখি কিনা প্রথমবারের মতো তা জানার চেষ্টা করেছে ওইসিডি৷ এতে দেখা গেছে, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও তাইওয়ানের অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, খেলাধুলার মতো পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে তারা কম অংশ নেয়৷ এবং তাদের মধ্যে ব্যর্থ হওয়ার ভয়টাও বেশি৷ অন্যদিকে, কম স্কোর করা স্পেন ও পেরুর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম ভীতি কম এবং খেলাধুলায় বেশি অংশ নিতে দেখা গেছে৷