শীর্ষ পর্যায়ে কতো নারী?
সমাজে সফলতা অর্জনে নারীর পথ কখনোই মসৃণ ছিল না৷ তবে শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে এসে সফলতার শীর্ষে উঠতে চাওয়া নারীর সংখ্যাও কম নয়৷ ছবিঘরে রইল বিশ্বের রাজনীতি, ক্রীড়াক্ষেত্র, একাডেমি, এবং রন্ধনশিল্পে নারীদের অবস্থান৷
সংসদে নারী
গত আড়াই দশকে বিশ্ব রাজনীতিতে নারীদের অবস্থান দ্বিগুণ বেড়েছে৷ তবে সংখ্যায় দ্বিগুণ বাড়লেও ইউএন উইমেন বলছে, এই সময়ে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়ার হার খুব ধীর ছিল৷ সংস্থাটির তথ্য মতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সংসদে নারীদের সংখ্যা ২৪ দশমিক নয় ভাগ৷ অর্থাৎ প্রতি চারজন পুরুষ সংসদ সদস্যের বিপরীতে নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা একজন৷
নারীদের নোবেল
১৯০১ সাল চালু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট নয়শ জন ব্যক্তি পৃথীবির সবচেয়ে সম্মানিত নোবেল পুরস্কারে পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন৷ এই সময়ে মোট ৬০ জন নারী নোবেল পুরস্কারের সম্মান অর্জন করেছেন৷
অলিম্পিকে নারী
বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলার আসর অলিম্পিকেও নারীদের জায়গা করে দিতে নানা চড়াউ-উৎড়াই পেড়োতে হয়েছে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে অবশ্য এই আসরটিতে নারীদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী হয়েছে৷ যেমন ১৯২৪ সালের অলিম্পিকে নারীদের সংখ্যা ছিল মোট অ্যাথলেটদের শতকরা পাঁচ ভাগ৷ ২০২০ সালে জাপান অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ ভাগ৷ আয়োজকদের আশা, ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে নারী-পুরুষ অ্যাথলেটদের সংখ্যা সমান হবে৷
অর্থনৈতিক প্রণোদনায় ‘বঞ্চিত’ নারীরা?
অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী নারী ফুটবল দলগুলোর কথাই ধরা যাক৷ ২০১৯ সালের অলিম্পিকে মোট ২৪টি নারী ফুটবল দল অংশ নেয়৷ আর পুরুষদের ৩২টি৷ সেবছর অংশগ্রহণের বোনাস বাবদ ৩২টি পুরুষ দলকে মোট চারশ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে ফিফা৷এর বিপরীতে ২৪টি নারী দলকে দেওয়া হয় মাত্র ৩০ মিলিয়ন ডলার৷
রন্ধনশিল্পে নারী
সমাজের গতানুগতিক ধারণা হলো ‘নারী থাকবেন রান্নাঘরে৷’ গতানুগতিক এমন ধারণা থাকার পরও রেস্টুরেন্ট খাতের নেতৃত্বে নারীদের উপস্থিতি খুব একটা নেই বললেই চলে৷ ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, সারাবিশ্বে তিন তারকা মিশেলিন পদবির অধিকারী নারী শেফের সংখ্যা মাত্র পাঁচজন৷