শুরু হলো ডয়চে ভেলের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম
২১ জুন ২০১১প্রতি বছরের মত এবারও একটি বিষয় নির্ধারিত হয়েছে সম্মেলনে৷ এবারের বিষয় ‘‘বিশ্বায়নের যুগে মানবাধিকার - গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ''৷ প্রথমদিন এই সম্মেলনে হাজির হন দেশি বিদেশি কয়েক শত সংবাদকর্মী এবং মানবাধিকার কর্মী৷ তারা তুলে ধরেন নানা বিষয়ে তাদের নিজস্ব মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গী৷
সম্মেলনের উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখেন ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক এরিক বেটারমান৷ বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১১ সাল হচ্ছে মানবাধিকারের বছর৷ তিনি মানবাধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন৷
প্রতি বছর ডয়চে ভেলের উদ্যোগে সেরা ব্লগ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ আর সেই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরষ্কার দেওয়া হয় এই গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে৷ এবার সেজন্য হাজির হয়েছেন বিজয়ী ব্লগাররা৷ সেরা ব্লগ জয়ী তিউনিসিয়ার লিনা বেন মেনি সোমবার তাঁর পুরষ্কার গ্রহণ করেন৷ এই সময় তিনি বলেন, তিউনিসিয়ায় যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন তিনি৷
সম্মেলনে হাজির ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক শামীম চৌধুরী৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন বাংলাদেশে বেতার মাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতি৷ তিনি বলেন,‘‘বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি বেসরকারি রেডিও কাজ করছে এবং আরও আটটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷'' তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে মত প্রকাশের পুরোপুরি স্বাধীনতা রয়েছে৷ তবে বাংলাদেশ বেতারকে বেসরকারি রেডিওগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হচ্ছে এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার জনগণের জন্য কথা বলে, যেটা বেসরকারি বেতারগুলো করে না৷ তাই দুইয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার প্রশ্নই ওঠে না৷
টেলিভিশন, ইন্টারনেটের এই যুগে বেতার মাধ্যম কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে, এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক বললেন, ‘‘রেডিও বা বেতার হলো শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের গণমাধ্যম৷ ইন্টারনেটে এখন রেডিও শোনা যায়, তা সত্বেও রেডিওর আবেদন ফুরাবে না৷ কারণ টেলিভিশন যেখানে যেতে ব্যর্থ হয় সেখানে বেতার গিয়ে হাজির হয়৷''
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক