তাজরিনে আগুন
১৯ ডিসেম্বর ২০১২তিনি মনে করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ৷ কারণ কমিটিতে গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিকদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি৷ আমিন বলেন, তারপরও এই কমিটি সাভারের তাজরিন ফ্যাশনস-এর মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ নয়জন কর্মকর্তাকে আগুনের জন্য দায়ী করেছে৷ বলেছেন, তাদের অবহেলা, ত্রুটিপূর্ণ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং ত্রুটিপূর্ণ ভবনের কারণেই এই আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ যার ফলে নিহত হন ১১২ জন শ্রমিক৷ তদন্ত কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে৷ তাই সরকারের এখন উচিত হবে তাদের বিরুদ্ধে হত্য মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার করা৷
আমিন বলেন, এই কমিটি নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের কোনো সুপারিশ করেনি, যা দুঃখজক৷ তাঁর মতে, অনুমান নির্ভর কোনো ক্ষতিপূরণ তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, নিহত ও আহতদের কর্মক্ষমতা বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করতে হবে৷ যা এর আগে বাংলাদেশেই হয়েছে৷ আর সেভাবে করা হলে একজন নিহত শ্রমিকের পরিবারের কমপক্ষে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা৷ যার অর্ধেক দেয়ার দায়িত্ব ক্রেতাদের৷
তিনি জানান, শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং তাঁদের স্বাস্থ্য নিরপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে৷ এ জন্য দেড় বছর আগে তাঁরা ঢাকায় আন্তর্জাতিক সেমিনার করে একটি সমঝোতা স্মারক তৈরি করেছিলেন৷ কিন্তু তাতে পরে তেমন কেউ সই করেনি৷
আমিন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার একটি অংশ রীতিমত মৃত্যুকূপ৷ ২০০৭ সাল থেকে পোশাক কারখানাগুলিতে আগুন লেগে প্রায় ৭০০ শ্রমিক নিহত হয়েছেন৷ অথচ বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগই আসে এই খাত থেকে৷