শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস
গত ১৪ বছরের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার ৬ লাখ মানুষের জীবন৷ বন্যায় এ পর্যন্ত ১৮৩ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ লাখো মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে৷
প্রাণহানি
ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত ১৮৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ৷ এখনো নিখোঁজ ১১০ জন৷ ২০০৩ সালের মে মাসে ভয়াবহ মৌসুমী ঝড়ে ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছিল, ১০ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল৷
৬ লাখ মানুষ গৃহহীন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, ৬ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে৷ বন্যা ও ভূমিধসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গৃহহীন অনেক মানুষ৷
পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে কুমিরের আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে৷ কারণ, ঐ এলাকাটি বন্য প্রাণির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত৷ সেখানে বন্যার পানি ঢুকে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকাও দেখা দিয়েছে৷
বিশুদ্ধ পানির অভাব
শ্রীলঙ্কার পানি সরবরাহ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ শতাংশ মানুষের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই৷ তাই যেসব কূপ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোকে অবিলম্বে পরিষ্কার করাটা ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে৷ পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি৷
ত্রাণ কাজে সেনাবাহিনী
ত্রাণ কাজে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী৷ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা কালুতারা, রত্নাপুরা, গল এবং মাতারায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিচ্ছে তারা৷
আবহাওয়ার উন্নতি
ঘূর্ণিঝড় মোরা বাংলাদেশে আঘাত হানায় মঙ্গলবার থেকে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া কিছুটা উন্নতির দিকে৷ তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাত হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক ত্রাণ
শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছাতে শুরু করেছে৷ ভারত দু’টি জাহাজে করে ত্রাণ পাঠিয়েছে৷ আজই পৌঁছাবে তৃতীয় জাহাজটি৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা পানির কন্টেইনার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং টারপুলিন পাঠাবে৷ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে তারা চিকিৎসা সহায়তা দেবে৷ জাপান ভ্রাম্যমাণ জেনারেটর এবং ত্রাণ কাজে বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠাবে বলে জানিয়েছে৷