ইয়েমেন সংকটে জড়িত দেশগুলিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ
২৪ জানুয়ারি ২০১৮জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল নীতিগতভাবে বিদেশে অস্ত্র বিক্রির ব্যবসায় রাশ টানার পক্ষে৷ ২০১৩ সালেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এই নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল৷ বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো ও অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সহযোগী দেশ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য সংকটপূর্ণ অঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে সেই সংশয়ের মাত্রা আরও বেশি৷ অথচ গত ৪ বছরে মহাজোট সরকার তার আগের সরকারের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদন করেছে৷ বিশেষ করে সহযোগী নয় এমন দেশে অস্ত্র রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে৷ তবে সামগ্রিকভাবে অস্ত্র রপ্তানি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমে গেছে৷
সরকার গড়ার আলোচনার প্রস্তুতিপর্বে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ জার্মানির বামপন্থি দল ‘ডি লিংকে' অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের কাছে অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিল৷ সেই তথ্যই এআরডি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র হাতে আসে৷
নতুন মহাজোট গড়ার পথে এসপিডি ও ইউনিয়ন শিবির আগেই অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশ টানার প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, যদিও বিষয়টি এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ নতুন তথ্য-পরিসংখ্যান প্রকাশের ফলে তাদের উপর চাপ আরও বেড়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
বিশ্বের বিভিন্ন চলমান সংকটে জার্মানির অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয়৷ সেই প্রেক্ষাপটে এসপিডি দল ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত সব দেশে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছে৷
তা সত্ত্বেও মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৭ সালে জার্মান অস্ত্র আমদানির সেরা ১০টি দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ বিশেষ করে ইয়েমেনে সৌদি আরবের সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিতর্কিত৷ তাছাড়া এই দেশগুলিতে লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও সমালোচনার আরেকটি কারণ৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)