নতুন আলোচনা চায় জার্মানি
৫ মে ২০১৪রোববার রুশপন্থিরা ওডেসার পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়৷ দু’হাজারের মতো বিক্ষোভকারীর চালানো এ হামলার সময় থানার জানলার কাচ ভেঙে ফেলা হয়৷ গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন অনেকে৷ হামলাকারীরা আটকে রাখা রুশপন্থিদের মুক্তির দাবি জানাতে থাকলে এক পর্যায়ে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেয়৷ ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৬৭ জনকে মুক্তি দেয়ার কথা জানিয়েছে৷
শুক্রবার কৃষ্ণসাগরীয় ওডেসায় রুশপন্থি এবং ইউক্রনপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে৷ সংঘর্ষের সময় পুলিশ যাঁদের আটক করে তাঁদের বেশির ভাগই রুশপন্থি৷ রোববার ইউক্রেনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুক ওডেসা সফর করেন৷ ভয়াবহ এ সংঘর্ষকে ‘সব ইউক্রেনবাসীর জন্যই দুঃখজনক' হিসেবে বর্ণনা করে এর জন্য রাশিয়া দায়ী বলে মন্তব্য করেন৷ তাঁর মতে, ‘‘ওডেসায় যা ঘটেছে তা ইউক্রেনকে ধ্বংস করার জন্য রুশ ফেডারেশনের পরিকল্পনার অংশ৷''
ওডেসায় সংঘর্ষ বন্ধ হলেও উত্তেজনা কমেনি৷ মারিউপোলের সরকারি ভবনগুলো থেকে রুশপন্থিদের সরানোর উদ্দেশে এখনো অভিযান চলছে৷ ভবনগুলোতে ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা ঢুকে পড়েছে৷ ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন আভাকভকে উদ্ধৃত করে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ এ খবর জানায়৷
এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্লাভিয়ানস্কে আটকে রাখা ওএসসিইর সাতজন সামরিক পর্যবেক্ষককে মুক্তি দেয় রুশপন্থিরা৷ নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক ইউরোপীয় সংগঠন ওএসসিই-র পর্যবেক্ষকদের মধ্যে চারজন জার্মান নাগরিকও ছিলেন৷ শনিবার তাঁদের ছেড়ে দেয়া হয়৷
পরের দিনই ওডেসায় শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ৷ চলমান পরিস্থিতিতে জেনেভায় আরেকটি শান্তি আলোচনা শুরু করা জরুরি মনে করছে জার্মানি৷ রোববার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার এআরডি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গত মাসে সুইজারল্যান্ডে দু’পক্ষ যেসব শর্ত মেনে নিয়েছিল, সেগুলো মেনে অস্ত্র ছাড়তে রাজি করানোর জন্য শিগগিরই নতুন করে আলোচনা শুরু করা দরকার৷
এসিবি/এসবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)