সংখ্যায় বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার
২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তা দিয়ে প্রায় তিনটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত৷ এ সংক্রান্ত আরও তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
এক হাজার কোটি ডলার
শুধুমাত্র ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এই পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি’ (জিএফআই)৷ বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটি প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার সমান৷
তিনটি পদ্মা সেতু
সবশেষ হিসেব অনুযায়ী, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ শুধু ২০১৪ সালে যে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে তা দিয়ে প্রায় তিনটি পদ্মা সেতু বানানো যেত৷
প্রতিবছর বাড়ছে
জিএফআই-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের পরিমাণ প্রায় প্রতিবছরই বাড়ছে৷ ২০০৪ সালে প্রায় ৩৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাচার হয়েছিল৷
গড়
জিএফআই-এর কাছে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের হিসেব আছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিবছর ৫৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে৷
শিক্ষা বাজেটের তিন গুণ
গতবছরের জুনে বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’ বা সিপিডি জানায়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা শিক্ষা বাজেটের ৩ দশমিক ৬ গুণ এবং স্বাস্থ্য বাজেটের ৮ দশমিক ২ গুণ৷ জিএফআই-এর হিসেবে ২০১৩ সালে পাচার হয়েছে ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার৷
জাতিসংঘের তথ্য
ইউএনডিপির এক প্রতিবেদন বলেছে, ১৯৭০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে৷ সব মিলিয়ে এই ৪০ বছরে যে অর্থ পাচার হয়েছে তার পরিমাণ ২০১০ সালে বাংলাদেশের মোট জিডিপির (১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি) ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানায় জাতিসংঘের এই সংস্থা৷
অর্থপাচারের পন্থা
সারা বিশ্বেই আমদানি-রপ্তানির লেনদেনে ইচ্ছে করে ভুল মূল্য উপস্থাপনের মাধ্যমে (ট্রেড মিস প্রাইসিং) অর্থপাচার হয়ে থাকে৷ বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়৷
পাচার রোধে ব্যবস্থা
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি সংস্থা অর্থ পাচার রোধে কাজ করছে৷ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত ‘বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন৷