সংরক্ষণবাদী নীতির বিরুদ্ধে জি সেভেন
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা যখন একের পর এক দেশকে আক্রান্ত করে চলেছে তখন উন্নত দেশগুলো তাদের নিজস্ব শিল্পগুলোকে রক্ষার জন্য একের পর এক ভর্তুকি কিংবা সহায়তা তহবিল ঘোষণা করে চলেছে৷ জি সেভেনভুক্ত দেশগুলো মনে করছে এভাবে সব দেশ নিজস্ব শিল্প সংরক্ষণ নীতি অবলম্বন করতে থাকলে তাতে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা কম৷ তবে রোমে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলন শেষে জি সেভেনভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে আশ্বস্ত করে বলেছেন এ ধরণের সংরক্ষণ নীতি অবলম্বন করলেও তা এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না৷ একই সঙ্গে তারা মুক্ত বাজার অর্থনীতি রক্ষায় যে কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন৷ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি এবং কানাডার অর্থমন্ত্রীবর্গ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা৷ বিশ্ব অর্থনীতিকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য এমুহুর্তে সকলের একসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত জরুরী বলে সম্মেলনে মত দেন তারা৷
বিশেষ করে ৩০ দশকের মহামন্দার সময় বিভিন্ন দেশ নিজেদের শিল্প এবং চাকরি বাঁচানোর জন্য সংরক্ষণবাদী নীতি অবলম্বন করেছিলো৷ এবার তেমন কোন পরিস্থিতির অবতারণা ঠেকানো অত্যন্ত জরুরী বলে মত দেয় জার্মানি এবং ব্রিটেন৷ জার্মান অর্থমন্ত্রী পেয়ার স্টাইনব্রুক বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য আমাদের সকলকে যা করা দরকার তাই করতে হবে৷ ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী এ্যালিস্টেয়ার ডার্লিং বলেন, সংরক্ষণ নীতি ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তা আজকের মতো আর কখনো অনুভূত হয়নি৷
সম্প্রতি ফ্রান্স এবং ইটালি তাদের গাড়ি শিল্পকে রক্ষার্থে যে বাড়তি অর্থ সহায়তা দিতে যাচ্ছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজে নিজস্ব পণ্য কেনার জন্য যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করেন জি সেভেনের মন্ত্রীরা৷ এ ব্যাপারে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জানান যে এ নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি কথা বলেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনারের সঙ্গে৷ তিনি বলেন, আশা করি বিশ্বের প্রতি দায়বদ্ধতার কথাটি মনে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ জি সেভেনের বিবৃতিতে বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জরুরী সংস্কার আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছ৷ এছাড়া বিশ্ব বাজারে কম মূল্যে চীনা পণ্যের রফতানিকে অনায্য বলেও অভিহিত করা হয়েছে৷