সন্ত্রাস ও চরমপন্থা দমনে বাংলা ভারত ঐকমত্য
৩ ডিসেম্বর ২০০৯জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ অপর বার্তা সংস্থা আইএএনএস এবং এনডি টিভির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, নতুন দিল্লির কাছে হস্তান্তর করার জন্য বাংলাদেশ তাঁকে পাঠিয়ে দিয়েছে বুধবারই৷ তবে ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিকে আটক বা তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
উলফা প্রধানের গ্রেফতারের এই খবর এমন একদিন বের হলো যে দিন নতুন দিল্লিতে শেষ হয়েছে বাংলা ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দশম বৈঠক৷ এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত সকল প্রকার সন্ত্রাস ও চরম পন্থা দমনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ উভয়পক্ষ সকল প্রকার সন্ত্রাস ও চরম পন্থার নিন্দা এবং একে অপরের স্বার্থ পরিপন্থি কোন কাজে কারো ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে৷
চারদিনব্যাপী এই বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার এবং ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী গোপাল কে পিল্লাই৷
বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশ অপরাধ বিষয়ে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অবৈধ মাদক পাচার দমন চুক্তি এবং সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করেছে৷ তারা দুই দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দি বিশেষ করে যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, দ্রুত প্রত্যর্পণের স্বার্থে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কৌশল উদ্ভাবনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন৷ এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুই দেশ একে অপরের ভূখন্ডে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা কয়েকগুণ বৃদ্ধি এবং প্রকৃত সময় ও যৌক্তিক তথ্যের ভিত্তিতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম