1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাস মোকাবিলায় কাজ করবে ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান

২৫ জুন ২০১১

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান৷ তেহরানে ছয় জাতির সন্ত্রাস বিরোধী সম্মেলনের প্রথম দিন এই ঘোষণা দেয় দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ৷ সম্মেলনে আরও অংশ নিচ্ছে ইরাক, তাজিকিস্তান ও সুদান৷

https://p.dw.com/p/11jTe
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদছবি: fararu.com

‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'' শীর্ষক তেহরানের দুই দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলোর সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন৷ আঞ্চলিক রাজনীতিতে ইরান একটি পশ্চিমা বিরোধী জোট গড়তে চায়, তেহরানের এই সম্মেলনে সেরকম ইঙ্গিত পাওয়া গেছে৷ সম্মেলনে ইরান, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি এই অঞ্চলে বিদেশি হস্তক্ষেপও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে৷ উপস্থিত দেশগুলো নিয়মিতভাবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারেও একমত হয়৷

সম্মেলনে আয়োজক দেশের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ তাঁর বক্তৃতায় বরাবরের মত পশ্চিমা দেশগুলোকে একহাত নেন৷ তিনি বলেন, এইসব জঙ্গি দল এবং সন্ত্রাসবাদের পেছনে রয়েছে অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের কিছু রাজনীতিবিদ৷ তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার চালানোর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন৷ ‘‘এগারই সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে ইরাক এবং আফগানিস্তান দখলের উসিলা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছে,'' বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ৷ সম্মেলনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনেই এক বার্তা পাঠান৷ তাতে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসীদের আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করেন৷ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে একের পর এক ড্রোন হামলা এবং ১৯৮৮ সালে ইরানের যাত্রীবাহী বিমানে গুলি চালানোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘‘সন্ত্রাসবাদ'' এ জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন৷

NO FLASH Gipfel im Iran Treffen Afghanistan Iran Pakistan
পাকিস্তান ও আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টছবি: AP

সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, ‘‘একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধে লিপ্ত এখন আমাদের সেনাবাহিনী৷ এই যুদ্ধ কেবল আমাদের দেশের ভবিষ্যত নয় বরং গোটা বিশ্বের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে৷'' আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তাঁর দেশে জঙ্গিবাদ আরও বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গত দশ বছর ধরে অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে অনেক অর্জন সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আফগানিস্তানে কোন শান্তি অর্জিত হয়নি৷ বরং দিন দিন সন্ত্রাসবাদ আফগানিস্তান এবং এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে৷''

আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাই ইরানের নেতা খামেনেই এর সঙ্গেও বৈঠক করেন৷ ইরানি নেতা এই সময় আফগান প্রেসিডেন্টকে জানান, আফগানিস্তানে যতদিন মার্কিন বাহিনী থাকবে, ততদিন এই অঞ্চলে সত্যিকার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে না৷

এদিকে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানিও৷ তিনি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মকে এক করে ফেলার পশ্চিমা মানসিকতার সমালোচনা করেন৷ তিনি আল কায়েদার মত সন্ত্রাসী দলকে কোনভাবে সহযোগিতা না করতে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে দেন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক