1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাষ্ট্রপতির মিতব্যয়িতার প্রশংসা

৪ অক্টোবর ২০১৩

দেশের রাজনীতি বা রাজনীতিবিদের খবর মানেই যেন বিরোধ-বিসম্বাদের একঘেয়েমি৷ প্রায় প্রতিষ্ঠিত এ নিয়মে খানিকটা পরিবর্তন এনেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে তাঁর প্রশংসা৷

https://p.dw.com/p/19tNL
ছবি: DW

ক্যানাডা প্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন ৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘‘রিকশায় চেপে সংবর্ধনায় এলেন রাষ্ট্রপতি!'' শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে নেয়া ছবিতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সত্যিই রিক্সাযাত্রী! দৃশ্যটি দেখে অনেকেই অভিভূত৷ তাই প্রশংসা করেছেন অনেকে৷ রওনক ইসলাম ইংরেজিতে যা লিখেছেন তার অর্থ এরকম, ‘‘তিনিই সত্যিকারের সাধারণ মানুষের নেতা৷'' মাহবুব রেজাও ইংরেজিতেই লিখেছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘তিনি খুব সরল এবং সৎ৷'' একদিন একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজোনের সময়ও রাষ্ট্রপতির এই সারল্য এবং সততার প্রমাণ পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মাহবুব রেজা৷ রিক্সায় রাষ্ট্রপতিকে দেখে মুস্তাফা নাঈমের মনে হয়েছে, ‘‘এটাই বাংলাদেশের আসল চিত্র ৷ তবে কথা হচ্ছে এখানে কে বেশি ভাগ্যবান? রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, নাকি সেই রিক্সা চালক, যাঁর রিক্সায় চড়ে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন? আমাদের রাষ্ট্রপতি কখন কবে রিক্সায় চড়েছেন তা তার মনে আছে কিনা আমরা জানিনা৷''

সাধারণ মানুষের মতো রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদও রিক্সায় চড়েছেন
ছবি: DW/S. Bandopadhayay

গতমাসে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার একটি খবরেও উঠে এসেছিল জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার মো. আব্দুল হামিদের অনুকরণীয় কিছু দিক৷‘মিতব্যয়ি রাষ্ট্রপতি' – ছোট্ট এই শিরোনামের খবরটিতে সিঙ্গাপুর সফরের সময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রাপ্য সুবিধা যত খুশি না নিয়ে দেশের টাকা বাঁচানোর মানসিকতা তুলে ধরা হয়েছিল৷ খবরের মূল কথা, ‘‘রাষ্ট্রের খরচ বাঁচাতে সিঙ্গাপুরে দৈনিক সাত হাজার ডলারের হোটেল স্যুইটের বদলে কম দামি হোটেলে ৬০০ ডলারের স্যুইটে থেকেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ৷ হোটেলের খাবারের দাম বেশি, তাই বাইরে থেকে কম দামে আনিয়েছেন বাঙালি খাবার৷ বিদেশে খরচ বাঁচাতে সামরিক সচিব, সচিব ও ব্যক্তিগত সচিবকে চড়িয়েছেন একই গাড়িতে৷ গত আগস্টে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্বিতীয়বার সিঙ্গাপুর সফরকালে মিতব্যয়িতার এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আবদুল হামিদ৷''

বাংলাদেশের সাংবাদিক জাহিদ নেওয়াজ খানের নজরে পড়ে খবরটি৷ এই খবর নিয়ে তিনি কালের কণ্ঠ পত্রিকাতেই লিখে ফেলেন উপসম্পাদকীয়, শিরোনাম, ‘‘আবদুল হামিদই যেন না হন শেষ উদাহরণ৷''

লেখাটি তখনই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন জাহিদ নেওয়াজ খান৷ সেখানেও অনেক মন্তব্যের ছড়াছড়ি৷ মীর শহিদুল আলম লিখেছেন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মনের কথা৷ আরেক মন্তব্যকারীর মন্তব্যের রেশ ধরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দুর্ভাগ্য যে তিনিই হতে পারেন শেষ উদাহরণ'' – এই আশঙ্কা যেন সত্যি না হয়৷ আমরা আরো অনেকের কাছে আরো অনেক এ রকম দৃষ্টান্ত আশা করি৷ চমৎকার লেখা জুয়েল৷''

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য