যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিলারি?
২ মার্চ ২০১৬সুপার টিউসডের ফলাফলের পর গণমাধ্যমের শিরোনামে ক্লিন্টনের নাম বড় করে আসা উচিত ছিল, কারণ তিনিই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে সম্ভাব্য প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী৷ কিন্তু তা না হয়ে গণমাধ্যমে বিলিওনেয়ার ট্রাম্পকে নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে৷ বিভিন্ন বিষয়ে কট্টরপন্থি ও পক্ষপাতমূলক বক্তব্যের জন্য তিনি আলোচিত এবং এ ধরণের বক্তব্য দিয়েই ট্রাম্প অ্যামেরিকার নিম্নমধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের মন জয় করেছেন৷ এভাবে ট্রাম্প এতদূর পর্যন্ত এসেছেন এবং ভবিষ্যতে রিপাবলিকান অন্য কোনো নেতা তাঁকে হারাতে পারবেন সেই সম্ভাবনাও কমে আসছে৷
এখন থেকে যেহেতু ট্রাম্পের উপর আলোকপাত আগের চেয়ে আরেকটু বেশি হবে, তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আসলে কী কী করতে চান সেটি আরেকটু নির্দিষ্ট করে বলতে হবে৷ কারণ জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নারীদের নিয়ে পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি বেশিদূর এগোতে পারবেন না৷ নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে হলে তাঁকে পরিবর্তিত হতে হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে জেতার মূল হাতিয়ার রাজনীতি৷ অথচ ট্রাম্প রিপাবলিকান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে এখনও অনেক দূরে অবস্থান করছেন৷
ট্রাম্প যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে নিজেকে না নিয়ে যান তাহলে তিনি হিলারি ক্লিন্টনের যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সহজ করে দেবেন৷ অবশ্য এক্ষেত্রে ক্লিন্টনকে যে-কোনো ধরণের কেলেংকারি থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং সাধারণ নাগরিকদের বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে, তিনি ওয়াশিংটনের অন্য সব মিলিওনেয়ার রাজনীতিবিদের মতো নন৷ অনেকে মনে করেন, ক্লিন্টন বেশ নির্লিপ্ত স্বভাবের এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা বোঝার ক্ষমতা তাঁর নেই৷ ক্লিন্টনকে এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে হবে৷