‘সরকার না চাইলে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব’
১ অক্টোবর ২০২১ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এর ৭৬তম পর্বের অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর৷ এবারের পর্বে আলোচনার বিষয় ছিল দেশের নির্বাচন কমিশন ও তার স্বাধীনতার মাত্রা৷
এই প্রসঙ্গে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছে৷ নির্বাচন কমিশন বিষয়ে নতুন আইন করা হলেও সরকার যেভাবে চাইবে (নির্বাচন) সেভাবেই হবে৷ তখনও আপনারা দেখবেন যে নির্বাচনে সরকার যাদের চাইছে তারাই জনপ্রতিনিধি হচ্ছে৷''
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটগুলির মধ্যে প্রধানতম সংকট হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের অভাব৷ আমাদের নতুন সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করায় প্রাধান্য দিচ্ছি৷''
অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় উন্নয়নের সাথে গণতন্ত্রের সাংঘর্ষিক কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়েও৷ এবিষয়ে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ৷ একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানুষের অধিকার, মানবিক অধিকার ও বিবেক থাকতে হবে৷ গণতন্ত্রের বাইরে গিয়ে চিন্তা করা যাবে না৷ মানবিক রাষ্ট্র গড়তে উন্নয়নের সাথে সংসদসহ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে৷ মানুষকে কথা বলতে দিতে হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে যে আমরা কারা কারা এটা চাই৷ যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা না চাইলে একটি অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচন করা একেবারেই অসম্ভব৷ এমনটা সম্ভব যদি সরকার প্রশাসনের কাজে, নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ না করে৷''
আজকের পর্বে এছাড়াও আলোচিত হয় নুরুল হক নূরের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা, দেশের রাজনীতিতে ভারতসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রশক্তির আনাগোনার মত নানা বিষয়৷
এসএস/এআই