1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপিতে অস্থিরতা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ মার্চ ২০১৪

দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সাদেক হোসেন খোকা৷ নিজে ব্যক্তিগত কারণের কথা বললেও, এ ঘটনাকে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলই মনে করা হচ্ছে৷ ফলে দলে বেড়েছে অস্থিরতা৷

https://p.dw.com/p/1BOVg
Aktivisten sammeln sich vor dem Sitz der Nationalistischen Partei BNP in Dhaka
ছবি: DW

৫ই জানুয়ারির একতরফা সংসদ নির্বাচনের সময় সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপির আরো অনেক শীর্ষ নেতা ছিলেন কারাগারে৷ গত ২০শে ফেব্রুয়ারি খোকা কারাগার থেকে ছাড়া পান৷ তবে তার আগেই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগর বিএনপিকে সিগন্যাল দিয়েছিলেন৷ নির্বাচনের পর সাদেক হোসেন খোকার অনুপস্থিতে মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তাঁদের ব্যর্থ বলে অভিহিত করেন তিনি৷ তোপের মুখে পড়েন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম৷ ঐ বৈঠকে খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিসহ সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ বলেন মহানগর বিএনপির খোল-নলচে পাল্টে ফেলার কথা৷

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছু দিন নিরব থেকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাদেক হোসেন খোকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার কথা জানান৷ তিনি সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের দাবি করে বলেন, ‘‘সংগঠনের জন্য তাঁর কাজের মূল্যায়ন দলের নেতা-কর্মীরাই করবেন৷'' এরপর অব্যাহতি নেয়ার বিষয়টি দলের চেয়ারপার্সনকেও জানিয়েছেন তিনি৷

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে খোকা দাবি করেন, আন্দোলন যে সফল হয়নি তা ঠিক নয়৷ ঢাকা মহানগরের আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য আটজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ এঁদের মধ্যে দু'জন কারাগারে ছিলেন৷ বাকি ছয়জন বাইরে ছিলেন৷ তাঁরা কী করেছিলেন? তারপর আসে মহানগরের কথা৷ এ সব নিয়ে এখন অনেক ‘ব্লেমগেম' হচ্ছে৷'' প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালামও উপস্থিত ছিলেন৷

বিএনপির একাধিক নেতা জানান সামনেই দলের কাউন্সিল ৷ তাই বাদ পড়ার আগেই খোকা বিদায় নিয়েছেন৷ আরো অনেককে বিদায় নিতে হবে বলেও জানান তাঁরা৷ ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন, সরকারবিরোধী আন্দোলন, জামায়াত এবং হেফাজতই হবে দলে থাকা বা না থাকার মাপকাঠি৷ এরই মধ্যে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে৷ বিএনপির অনেক নেতার নির্বাচনের আগে জেলে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি থেকে জামায়াত ও হেফাজত বিরোধিতা নিয়েও৷ তাই জামায়াত এবং হেফাজত বিরোধিতার মূল্য দিতে হতে পারে কয়েকজন নেতাকে৷ মহানগর ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা রয়েছেন সেই তালিকায়৷

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘উপজেলা নির্বাচনের পর দলের কাউন্সিল হবে৷ সেই কউন্সিলে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নতুন কমিটি গঠন করা হবে৷ কাউন্সিলে দলকে সামনের আন্দোলনের জন্য শক্তিশালী করা হবে৷ যাঁরা অতীতের আন্দোলনে সময় দেননি বা দিতে পারেননি, স্বাভাবিক কারণেই তাঁদের আর সামনের সারিতে রাখা হবে না৷ এছাড়া যাঁরা আন্দোলনে মাঠে ছিলেন মূল্যায়ন হবে তাঁদের৷''

Bangladesch Khaleda Zia vor den Wahlen
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াছবি: DW/M. Mamun

সাদেক হোসেন খোকার অব্যাহতি নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তাঁর বয়স হয়েছে৷ তাই হয়ত নিজেই অন্যদের সুযোগ দেয়ার জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন৷ তবে এখনো তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন৷''

শামসুজ্জামান দুদুর কথায়, ‘‘নির্বাচনের সময় সাদেক হোসেন খোকা কারাগারে ছিলেন, তারপরও আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতার দায় যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে নিতে হয়৷'' তবে দলে জামায়াত বিরোধীদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, এমন ধারণা ঠিক নয় বলে জানান তিনি ৷ তিনি বলেন, ‘‘জোটবদ্ধ আন্দোলনে সাদেক হোসেন খোকাও জামায়াতের সঙ্গে কাজ করেছেন৷''

এদিকে খোকার অব্যাহতির মধ্য দিয়ে বিএনপিতে অস্থিরতা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ শুধু তাই নয়, এর ফলে দলীয় নেতাদেরে একটা বড় অংশ আতঙ্কে আছেন বলে জানা গেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য