তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২সন্দেহের সব দিক খোলা রেখেই পুলিশ তদন্ত করছে সাগর-রুনি দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা৷ ব্যক্তিগত, পারিবাবিরক বা পেশাগত শত্রুতা৷ অথবা চুরি করতে গিয়ে ডাকাতি, তারপর হত্যাকাণ্ড - কোনো দিকের তদন্তই বাদ দেয়া হচ্ছেনা৷ ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, শুরুতে তদন্ত টিমের সংখ্যা কম থাকলেও, এখন তা বাড়ানো হয়েছে৷ তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন হত্যাকাণ্ডের ‘মোটিভ' এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে৷ এছাড়া মামলার তদন্তে পুলিশের একধিক টিম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কাজ করছে বলেও জানান তিনি৷
মনিরুল ইসলাম জানান, অপরাধী কারা তা এখনো নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ তারা যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ৷ সীমান্ত এলাকা এবং দেশের সবকটি বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ আর রাজধানী ঢাকার ভেতরে চেকপোস্ট বসিয়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি৷ তিনি জানান, কারুর জড়িত থাকার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে তারা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন না৷ তবে যেই জড়িত থাকুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবেই৷
এদিকে বুধবারও ঢাকাসহ সারা দেশে সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন৷ সাংবাদিক নেতারা তদন্তের এই দীর্ঘসূত্রিতার আড়ালে তদন্ত যেন ভিন্নখাতে প্রবাহিত না হয়, সে ব্যাপারে সাবধান করে দেন৷
গত শনিবার ভোর রাতে সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি ঢাকায় তাঁদের পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায়ও কেউ গ্রেফতার হয়নি৷ আর প্রতিদিনই তদন্তের নতুন নতুন ‘ফ্রন্ট' খুলছে পুলিশ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ