1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠন

৪ অক্টোবর ২০১১

আগামী ৩০শে অক্টোবর থেকে বিচার শুরু হবে৷ বাংলাদেশে তিনিই প্রথম যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন৷ তবে তাঁর আইনজীবী দাবি করছেন, অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু করতে তাদের প্রস্তুতির জন্য এ সময় যথেষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/12krx
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীছবি: bdnews24.com

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বিচারক নিজামুল হক নাসিম আজ সকালে জামায়েত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর উপস্থিতিতে, তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অভিযোগ পড়ে শোনান৷ এর আগে বিচারক ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন৷

সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, লুট তরাজ, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষন ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তাসহ নানা অপরাধের কথা সাক্ষ্য-প্রমাণসহ তুলে ধরেন বিচারক৷ এছাড়া, গত ২১ থেকে ২৭শে সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানিতে দুই পক্ষ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সংক্ষিপ্ত সারও তুলে ধরা হয়৷ এরপর আদালত সাঈদীর কাছে জানতে চান যে, তিনি দোষী না নির্দোষ৷ সাঈদী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন৷ আদালত সাঈদীকে মামলা থেকে অব্যহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন৷ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ২০ ধরনের অভিযোগের বিচার হবে৷

আগামী ৩০শে অক্টোবর থেকে বিচার কাজ শুরু হবে৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত টানা এই বিচারকাজ চলবে৷ তবে সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেন, তাদের প্রস্তুতি নিতে মাত্র ২৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে৷ তাই বিচারকাজ শুরুর জন্য এ সময় পর্যাপ্ত নয়৷

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাঈদীকে গত বছরের ২৯শে জুন গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেশ করা হয় চলতি বছরের জুলাই মাসে৷ আজ অভিযোগ গঠনের পর বাংলাদেশে তিনিই প্রথম, যিনি এহেন এক বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন৷ এই মামলায় সাঈদীসহ পাঁচ জন জামায়ত নেতা এবং দু'জন বিএনপি নেতাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য