সাগরে তলিয়ে যাবে উপকূলীয় বহু দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮এর মধ্যে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভিয়েতনাম৷ আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনই উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে৷
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় বাংলাদেশের সমতল নীচু জমি এবং নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হবে৷ ফলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে দেশটি৷ একই পরিস্থিত হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের৷ আগামী একশো বছরের মধ্যে দেশটির ৫ শতাংশ এলাকা ডুবে যাবে৷ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে ১১ শতাংশ জনগণ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ৭ শতাংশ কৃষিজমি৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর এই প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে একটি ক্লাইমেট চেঞ্জিং ওয়ার্কিং গ্রুপ৷ বিদেশি বিভিন্ন এনজিও-র সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এটি৷এছাড়া কাজ করে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার অর্থাত্ আইইউসিএন৷ তবে সেন্টার ফর এডুকেশন রিসার্চ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর পরিচালক ২০০৭ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পরিবেশ বিজ্ঞানী নুয়েন হু নিন বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে মূলত ভিয়েতনামীদেরই৷ কারণ নিজস্ব ঐতিহ্য, অভ্যাস আর বাসস্থান সম্পর্কে তারা নিজেরাই ভাল বোঝে৷ বিদেশি সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করতে পারে৷
অবশ্য ভিয়েতনাম সরকার এবং স্থানীয় সংস্থাগুলো এরই মধ্যে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং বন্যা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এ বছরের শেষ নাগাদ ভিয়েতনামী পার্লামেন্টে নতুন বিল উত্থাপন করার আশা করছে দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়৷
ওয়ার্ল্ড ভিশনের সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে উন্নত দেশগুলোর পরিবেশ দূষণের দায়ভার বহন করতে হবে অনুন্নত দেশগুলোকে৷ তবে দ্রুত উন্নয়নশীল কমিউনিস্ট দেশ ভিয়েতনামও পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে৷ ২০০২ সালে দেশটি কিওটো প্রটোকলে সই করলেও দূষণ কমাতে পারছে না মোটেও৷ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দূষণও বাড়ছে দেশটিতে৷