সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
১ মার্চ ২০১২জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের সব সংগঠনের নেতা এবং সব ধরনের সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন৷ তারা বলেন, সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গত তিন সপ্তাহেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ তাদের অভিযোগ, সাংবাদিকরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় নানা মহল সাংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের পায়তারা করছে৷ ফলে পুলিশের তদন্ত এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে৷
সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা রুহুল আমিন গাজি বলেন, সাগর-রুনির হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলেবে৷ সাংবাদিকরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন৷ এই ঐক্য অটুট থাকবে৷
নিউজ টুডে'র সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে খবর পরিবেশনে যে ‘সেন্সরশিপ' আরোপের চেষ্টা করা হচ্ছে - তা মেনে নেয়া হবেনা৷ তিনি বলেন, অবিলম্বে সাগর-রুনির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে৷ আর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবাহান চৌধুরী বলেন, শুধু সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ধরলেই চলেবেনা, এ পর্যন্ত যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের হত্যারও বিচার করতে হবে৷ আর সাংবাদিকদের নিপরাত্তা দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা দূর করতে হবে৷
অনশন শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়৷ আগামীকাল থেকে ১৫ই মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে ঢাকা সহ জেলা ও বিভাগে সাংবাদিকদের সভা সমাবেশ করা হবে৷ এবং ১৮ই মার্চ ঢাকায় সাংবাদিকদের মহসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে৷ এর মধ্যে হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে৷ প্রসঙ্গত, এর আগে গত সপ্তাহে সাংবাদিকরা প্রতীকী ধর্মঘটও করেছিলেন৷
গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করা হয়৷ গত ২০ দিনেও হত্যাকণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ