৩টি ম্যাচেই জয়
১৯ মার্চ ২০১২সকালে গিয়েছিলেন ভোট দিতে৷ নাগরিক প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবার সম্মান পেয়েছিলেন হ্যার্টা বার্লিন ক্লাবের কোচ অটো রেহাগেল৷ সবাই তাঁকে সান্ত্বনা দিতেই ব্যস্ত ছিলেন৷ শনিবার রাতে বায়ার্ন'এর কাছে ০-৬ গোলে হারের ব্যথায় যদি কিছুটা মলম লাগানো যায়৷ রেহাগেল অবশ্য শোক প্রকাশ করেন নি৷
অথচ এই রেহাগেল'ই কিন্তু একমাত্র কোচ, যিনি দোর্দণ্ডপ্রতাপ বায়ার্ন মিউনিখ'এর বিরুদ্ধে যে কোনো দলকে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দিয়েছেন৷ বায়ার্ন'কে অবাক করে দিতে তিনি হ্যার্টা'র খেলোয়াড়দের ‘গোপন প্রশিক্ষণ'এর ব্যবস্থা করেছিলেন৷ কিন্তু তাতে কোনো কাজ হলো না৷ গোটা ম্যাচ জুড়ে দিশাহারা হয়ে রইলেন হ্যার্টা'র খেলোয়াড়রা৷ ফ্রাংক রিবেরি ও আরিয়েন রবেন প্রায় বিনা বাধায় মনের সুখে গোলের ফোয়ারা ছুটিয়ে গেলেন৷ প্রতিপক্ষের এমন দুর্বলতা দেখে তারাও বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন৷ শনিবার রাতে হ্যার্টা'র এই বিপর্যয়ের পর দল বুন্ডেসলিগা'র দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
গোটা সপ্তাহ জুড়েই সাফল্যের স্বাদ পেয়ে এসেছে এফ সি বায়ার্ন৷ ৩টি ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখেছে৷ ২০টি গোল দিয়েছে, খেয়েছে মাত্র একটি৷ হফেনহাইম'এর বিরুদ্ধে ৭-১ গেলে জয়ের মুখ দেখেছে বায়ার্ন৷ চ্যাম্পিয়নস লিগ'এ বাসেল'এর বিরুদ্ধে ম্যাচে ৭-০ গোলে জিতেছে কোচ ইয়ুপ হাইনকেস'এর টিম৷ হ্যার্টা বার্লিন'এর বিরুদ্ধে আরও একটা গোল করতে পারলে সেই ধারা বজায় থাকতো৷ কিন্তু ৬-০ গোলই বা মন্দ কী!
হ্যার্টা বার্লিন'এর মতোই বিধ্বস্ত এফসি কাইজার্সলাউটার্ন৷ তাদেরও দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যাওয়ার ভয়ে থাকতে হচ্ছে৷ শালকে'র কাছে ৪-১ গোলে হেরে বুন্ডেসলিগা'র তালিকার একেবারে শেষে চলে গেছে ফুটবল-পাগল এই শহরের টিম৷ পর পর ১৬টি ম্যাচে হারার গ্লানি মোটেই সুখকর হতে পারে না৷ খেলায় হার-জিত আছে ঠিকই৷ কিন্তু কাইজার্সলাউটার্ন'এর খেলোয়াড়দের বর্তমান ফর্ম দেখে অদূর ভবিষ্যতে আশার আলো জাগছে না৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ