সিরিয়ার রকেট হামলায় তুরস্কে প্রাণহানি
২২ নভেম্বর ২০২২সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তুরস্ক বিমান হামলা চালানোর একদিন পর এই রকেট হামলার ঘটনা ঘটলো।এই হামলার জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
"আমাদের তিনজন নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে এক শিশু ও এক শিক্ষক,” তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু এক লাইভ টিভি সম্প্রচারের এসে এই তথ্য দেন। এই হামলার কড়া জবাব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রকেট একটি স্কুল, দুটি বাড়ি ও একটি ট্রাকে আঘাত হানলে এটি প্রাণহানি ঘটে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়মনে করে, রকেটগুলো ছুঁড়েছে কুর্দি জঙ্গিরা, যারা তুরস্ক সংলগ্ন সিরিয়ার এক বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
তুরস্ক সম্প্রতি সিরিয়া ও ইরাকের যেসব অঞ্চল কুর্দিরা নিয়ন্ত্রিত করছে সেসব এলাকাতে পুনরায় বিমান হামলা শুরু করে। ১৩ নভেম্বর রাজধানী আঙ্কারাতে হামলার জবার দিতেই বিমান হামলা শুরু করেছে বলে দাবি করা হয়।
এই হামলার জন্য কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং সিরিয়ায় তাদের সহযোগী পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)-র জঙ্গিদের দোষারোপ করে তুরুস্ক। তবে কুর্দি গ্রুপগুলো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর্দোয়ানের হুঁশিয়ারি
এই রকেট হামলার পাল্টা জবাব দিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান উত্তর সিরিয়ায় স্থল অভিযানের কথা বিবেচনা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের একটি অভিযান চালানো হয়েছিল ২০১৮ সালে আফরিনের উত্তর-পশ্চিম ক্যান্টনে। "শুধুমাত্র আকাশ পথে অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার প্রশ্নই আসে না,” কাতারে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চিফ অফ স্টাফ বসে সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের স্থল বাহিনী কী ধরনের শক্তি প্রয়োগ করবে।''
একেএ/এসিবি (এএফপি, এপি)