সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০পিলখানায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের পাঁচ দিনের সম্মেলন শেষে সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন৷
বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা এবং মাদক পাচারের বিষয় গুরুত্ব পেলেও বিএসএফ কাউকে হত্যা করে না, বরং সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের সময় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন বিএসএফ মহাপরিচালক রমন শ্রীবাস্তব৷ তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড হয় উদ্দেশ্যমূলক৷ কিন্তু বিএসএফ-এর গুলিতে যাঁরা মারা যান, তাঁদের হত্যার উদ্দেশে গুলি করা হয়না৷
তিনি বলেন, ভারতের কেউ যদি সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কি বসে থাকবে? বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন৷ যাঁরা মারা যান, তাঁরা ভারতের মাটিতে মারা যান৷ তাঁরা অপরাধী৷ অপরাধী না হলে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করবে কেন ? শুধু বাংলাদেশি নয় ভারতীয় নাগরিকও নিহত হন এভাবে৷
সীমান্তে চোরাচালান ও হত্যা বন্ধে কারফিউ জারির কথা বলেন বিএসএফ মহাপরিচালক৷ কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার৷
দু‘দেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানে, বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা বা আহত করা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম, বাংলাদেশের জমিতে জোরপূর্বক চাষাবাদের চেষ্টা, অবৈধভাবে গ্রেপ্তার-অপহরণ ও সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধ করা এবং দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণসহ সীমান্তে বিডিআর বিএসএফের যৌথ টহলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷
বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম জানান, সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা বন্ধের ব্যাপারে তিনি অনঢ় রয়েছেন৷ বিডিআর-বিএসএফ মহপরিচালক পর্যায়ে পাঁচ দিনের বৈঠকের সম্মিলিত যৌথ বিবরণীতে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শেষ হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ